বারাসত মেডিক্যালে প্রতারণার অভিযোগ চাকরি দেওয়ার নাম করে , অবশেষে পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হল প্রতারিত
বেস্ট কলকাতা নিউজ : চাকরি দেওয়ার নামে এবার প্রতারণার অভিযোগ উঠলো বারাসত মেডিক্যাল কলেজে ৷ এদিকে এই ঘটনায় নাম জড়িয়েছে ওই মেডিক্যাল কলেজেরই এক কর্মীর । পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তের নাম সৌমেন মণ্ডল ৷ বর্তমানে বারাসত মেডিক্যাল কলেজের সিকিউরিটি গার্ডের সুপারভাইজার পদে রয়েছেন ওই ব্যাক্তি । প্রতারিত যুবকের নাম অভিজিৎ দাস ৷ অভিযোগ, টাকা দেওয়ার পরেও চাকরি না-মেলায় ওই যুবক পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হন এবং লিখিত অভিযোগ করেন ৷ ঘটনাটি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বারাসত পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার প্রতীক্ষা ঝাড়খাড়িয়া।

জানা গিয়েছে, প্রতারিত ওই যুবকের বাড়ি বারাসতের বামুনমুড়ো এলাকায় ৷ অভিজিৎ ডেলিভারি বয়ের কাজ করেন ৷ মাস ছ’য়েক আগে তাঁর সঙ্গে পরিচয় হয় বারাসত মেডিক্যাল কলেজের ওই সিকিউরিটি গার্ডের ৷ পরিচয় সূত্রে টাকার বিনিময়ে যুবককে ওই হাসপাতালে চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দেন সৌমেন ৷ এর জন্য তিনি প্রায় দেড় লক্ষ টাকা দাবি করেন অভিজিতের কাছে ৷ এমনটাই অভিযোগ যুবকের ৷ যদিও শেষ পর্যন্ত রফা হয়েছিল ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকায় ৷ সেই মতো সিকিউরিটি গার্ডের সুপারভাইজার সৌমেনকে ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা দিয়েও দেন অভিজিৎ ৷ কিন্তু দীর্ঘদিন কেটে গেলেও চাকরি জোটেনি যুবকের ৷ এর পরেই টাকা ফেরতের দাবিতে সরব হন ওই যুবক ৷ অভিযোগ, টাকা ফেরতের কথা বললেই সৌমেন বিভিন্নভাবে তা এড়িয়ে চলেন ৷ তখন যুবক বুঝতে পারেন তিনি প্রতারিত হয়েছেন ৷ তাই দেরি না করে, পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন প্রতারিত যুবক।
তাঁর দাবি,”দিন-রাত কষ্ট করে উপার্জনের টাকা থেকেই 1 লক্ষ 25 হাজার টাকা তুলে দিয়েছিলাম সৌমেনের হাতে ৷ টাকার বিনিময়ে এজেন্সি মারফত হাসপাতালে নিরাপত্তারক্ষীর চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন তিনি ৷ চাকরি দেওয়া তো দূরের কথা ৷ টাকাও ফেরত দিচ্ছে না সে ৷ বারবার বলেও কোনও কাজ হয়নি ৷ শুধু দেখছি, দেখব বলে দিনের পর দিন ঘুরিয়ে যাচ্ছে আমাকে । এখন বুঝতে পারছি প্রতারিত হয়েছি । সেই কারণে পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হতে হয়েছে । আমি চাই, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হোক।”যদিও, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বারাসত মেডিক্যাল কলেজের সিকিউরিটি গার্ডের সুপারভাইজার সৌমেন মণ্ডল । পাল্টা তিনি দাবি করেন,”তাঁর বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ করা হচ্ছে ৷ তিনি কারও কাছ থেকে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা নেননি।” তবে, বিষয়টি নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন বারাসত মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ ৷