বাস মালিকরা জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ জানাল বাসের গায়ে পোস্টার লিখে
বেস্ট কলকাতা নিউজ : ‘দিদি আমাদের বাঁচান’৷ বেসরকারি বাস মালিকরা পোস্টার লিখে জ্বালানির লাগামছাড়া দাম বৃদ্ধির বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সরব হলেন ঠিক এভাবেই। পোস্টারগুলিতে লেখা হয়েছিল, ‘আচ্ছে দিন’ ও ‘মন কি বাত’ এর প্রসঙ্গ৷ সেই সঙ্গে এমনকি পোস্টারে লেখা হয়েছিল ২০১৪ সালের সঙ্গে ২০২১ সালের জ্বালানির দামের পার্থক্য ও তাঁদের অন্যান্য দাবিগুলিও৷ এই ধরনের পোস্টার গুলি লাগানো হয়েছে দমদম, নাগেরবাজার বাস টার্মিনাস, বাগুইআটি, আনন্দপুর, বেহালা ও গড়িয়ার বাস টার্মিনাসে বেসরকারি বাস ও মিনিবাসের সামনের কাচে ও বাসের গায়ে।
বেসরকারি বাস মালিক ও চালকরা অবশেষে এই পথ বেছে নিয়েছেন নিজেদের অসহায় অবস্থার প্রতি সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে৷ ওয়েস্টবেঙ্গল বাস অ্য়ান্ড মিনি বাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক প্রদীপনারায়ণ বসু এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘আমাদের এই কর্মসূচি কেন্দ্রের দ্বিচারিতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে সাধারণ মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতেই৷’’প্রদীপনারায়ণ বসু আরোও বলেন, ‘‘২০১৪ সালে আমরা প্রথম শুনেছিলাম আচ্ছে দিন ও মন কি বাতের কথা ৷ তখন জ্বালানির দাম ৫৫ টাকা ছিল প্রতি লিটারে৷ আর এখন প্রায় ৯০ টাকা প্রতি লিটারে গিয়ে ঠেকেছে সেই দাম৷ অথচ তখন বাসের ভাড়া ছিল ৫ ও ৭ টাকা ৷ আর এখন সেই বাসের ভাড়া এখন হয়েছে ৭ ও ৮ টাকা৷ অন্যান্য সব কিছু বাড়লেও কিন্তু তেমন কোনও পরিবর্তন আসেনি বাসের ভাড়ায়৷ তেলের দাম ও অন্যান্য জিনিসের দাম যেভাবে বাড়ছে, তার ফলে পরিষেবা দেওয়া অত্যন্ত দুষ্কর হয়ে পড়ছে বাস মালিকদের পক্ষে৷’
প্রসঙ্গত , বেসরকারি বাস মালিকরা ঘোর বিপাকে পড়েছেন পরপর দু’বছর লকডাউন ও বিধিনিষেধের জেরে৷তার পর আবার গোদের ওপর বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে জ্বালানির লাগাছাড়া মূল্যবৃদ্ধি৷ এভাবে বাসের পরিষেবা দেওয়া কার্যত বাস মালিকদের কাছে অসম্ভব হয়ে পড়েছে৷ এবার তাই তাঁরা তাকিয়ে রয়েছেন রাজ্য সরকারে দিকেই৷ বাস মালিকদের সাফ কথা, আর কোনো ভাবেই পরিষেবা দেওয়া সম্ভব নয় বাসের ভাড়া না বাড়ালে৷