বীর হনুমান অমরত্ব পেয়েছিলেন কি বজ্রপাতের কারণেই ? জেনে নিন মজাদার পৌরাণিক কাহিনি
বেস্ট কলকাতা নিউজ : হনুমানের জন্ম দিবস উপলক্ষে হনুমান জয়ন্তী পালন করা হয় প্রতিবছরই। কথিত আছে বীর হনুমান চারটি যুগের অমরত্ব লাভ করেছিলেন পুরাণ অনুযায়ী। বজ্রপাতই ছিল এই অমরত্ব লাভের অন্যতম প্রধান কারণ ।এমনকি এই বীর হনুমান সমগ্র পৃথিবীকে রক্ষা করেছিলেন রাবণের রাক্ষস বাহিনীর হাত থেকে। পুরাণ কাহিনী অনুযায়ী রাবণ ব্যঙ্গ করতেন কৈলাসের পাহারারত নন্দীকে।নন্দী রাবণের এহেন আচরণে ক্ষিপ্ত হয়ে রাবণকে অভিশাপ দেন যে , রাবণ বংশ ধ্বংস হবে নর ও বানরের হাতেই। বীর হনুমানই ছিলেন এই নর ও বানর।
ছোট্ট হনুমান জন্ম নেয় কেশরী ও মাতা অঞ্জনার ক্রোরে। হনুমানের পালিত পিতা ছিলেন পবনদেব। হনুমান অতি চঞ্চল প্রকৃতির ছিলেন শৈশবকাল থেকেই। এমনকি তিনি একদিন খেলাচ্ছলে সূর্য দেবতাকেও গ্রাস করে নেন। ইন্দ্র ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন এমত পরিস্থিতিতে। হনুমানের উপর তীব্র বজ্রাঘাত হানেন সূর্য দেবতাকে রক্ষা করার জন্য। ছোট্ট হনুমান অচেতন হয়ে পড়েন ইন্দ্রের বজ্রাঘাতের আঘাত সহ্য করতে না পেরে। সূর্যদেব রক্ষা পেলেও পবন দেবের হাত থেকে ইন্দ্রদেব রক্ষা পায় না। এদিকে পবন দেব সমস্ত ধরিত্রীর সমস্ত বায়ু রোধ করে দেন পুত্রের করুণ অবস্থা দেখে। চরম আশঙ্কা দেখা দেয় মহাবিনাশের। তখন মহাপ্রলয়ের হাত থেকে পৃথিবী কে রক্ষা করার জন্য হনুমানকে সুস্থ করে দেন ব্রহ্মা ও অন্যান্য দেবগন। ব্রহ্মা হনুমানকে আশীর্বাদ করেন চার যুগের অমরত্ব দিয়ে। এই বীর হনুমানই পরবর্তীকালে রামের সঙ্গী হয়ে সীতা উদ্ধারে সাহায্য করেন এবং লেজে আগুন নিয়ে লঙ্কায় তাণ্ডব চালান।
একদা ময়মনসিংহ ও সিলেট অঞ্চলে অন্য একটি লোকায়েত কাহিনী প্রচলিত ছিল ঝড়-বৃষ্টি বজ্রপাত কে ঘিরে। তত্কালীন সাধু-সন্ন্যাসীরা শিরালিরা নামক এক শিঙা বাজাতেন বজ্রপাত ও শিলাবৃষ্টি থেকে ফসল রক্ষার জন্য। অঞ্চলবাসীর বিশ্বাস অনুযায়ী এতে মেঘ এবং বজ্রপাতকে তাড়ানো যায়। তবে এই জাতীয় গান প্রায় লুপ্ত হয়ে গেছে বর্তমানে সময়ের কালগ্রাসে।