ব্যবসা বন্ধ! রেস্তরাঁ মালিক আক্রান্তদের খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন নিজের সঞ্চিত অর্থেই
বেস্ট কলকাতা নিউজ : একাধিক রাজ্য কারফিউ থেকে লকডাউনের শরণাপন্ন হয়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সামলাতে। এমনকি তার ব্যতিক্রম নয় এই পশ্চিমবঙ্গও। কার্যত লকডাউন বিঁধি জারি রয়েছে এখানেও। একাধিক ক্ষেত্রের ব্যবসা বন্ধ হয়ে পড়েছে এমন পরিস্থিতিতে। হোটেল- রেস্তরাঁ হল তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি ব্যবসা। এই ব্যবসার মালিকদের একরকম ভাটা নেমে এসেছে করোনা বিধিতে। তবে মানুষদের সাহায্যে তারাও কোনো রকম ভাবে পিছিয়ে নেই এই চরম সংকটকালে। ঠিক তেমনই ব্যবসা বন্ধ থাকলেও, চুঁচুড়ার রেস্টুরেন্ট মালিক রাজীব করোনা আক্রান্তদের কাছে খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন নিজের সঞ্চিত অর্থেই।
রাজীবের একটি হোটেল কাম রেস্তরাঁ রয়েছে চুঁচুড়া ঘড়ির মোড়ে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু রোডে। তা একরকম ক্রেতাহীন কার্যত লকডাউনের জেরে । তবুও সময় করে তিনি খবার প্যাকেট করছেন দুপুর রাতে। তবে কোনো ব্যবসার তাগিদে নয়, মানুষের সাহায্যার্থে। অনেকের বাড়িতে উনোন জ্বলছে না করোনা আক্রান্ত হয়ে। আর রাজীব দুবেলা খাবার সরবরাহ করছে তাদেরকেই। অবশ্য একেবারে তা বিনামূল্যেই। রাজীবের কথায়, তার এই উদ্যোগ ‘মানুষকে ভালোবেসে’। গত ১৩ মে থেকে তিনি প্রতিদিন দুবেলা পুষ্টিকর খাবার সরবরাহ করছেন ৪১ জনকে। ক্রেতা শূন্য এই হোটেলে তাই চলছে দুপুর-রাত্রের রান্না।
সপ্তাহে পাঁচদিন আমিষ এবং দুদিন নিরামিষ সেই রান্নায় থাকছে দুপুরে ভাত, ডাল, ভাজা, তরকারি, মাছ (মাংস অথবা ডিম) এবং রাতে রুটির সঙ্গে থাকছে তরকা বা আলুরদম, চিকেন স্যালাড ইত্যাদি। যাকে রীতিমতো এককথায় বলা যেতে পারে এলাহি আয়োজন। প্রসঙ্গত, এই রেস্তরাঁ মালিক রাজীব এর পূর্বপুরুষরা থাকতো অমৃতসরে। তাঁর ঠাকুরদা চুঁচুড়ায় চলে আসেন ব্রিটিশ আমলেই। ধিরে ধিরে তাঁরা এখানেই নামী ব্যবসায়ি হয়ে ওঠেন।