ভরত জাল নথি তৈরি করছিল ভুয়ো নামে সিম কিনে, নিউ টাউন কান্ডে সামনে এলো এক চাঞ্চল্যকর তথ্য
বেস্ট কলকাতা নিউজ : এক নতুন তথ্য সামনে এল নিউটাউনে গ্যাংস্টার এনকাউন্টার কাণ্ডে৷ মোবাইলের সিম কার্ড কেনা হয় ভুয়ো এক ব্যক্তির নামেই৷ ফোনাফুনি চলছিল সেই সিম কার্ডের মাধ্যমেই৷ ইতিমধ্যেই তদন্তে উঠে আসে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় পিংলার রায়পুরার বাসিন্দা আকাশ পাল নামে এক ব্যক্তির নাম৷ কিন্তু মেদিনীপুর জেলা পুলিশের সঙ্গে কথা বলে রাজ্য পুলিশের এসটিএফের গোয়েন্দারা এখন এক প্রকার নিশ্চিত যে কোনও অস্বিত্বই নেই পিংলা থানা তথা গোটা জেলায় আকাশ পাল নামে যে ব্যক্তির পরিচয় ব্যবহার করা হয়েছে তার৷
গোয়েন্দারা জানতে পেরেছিলেন, গত ১৭ মে গ্যাংস্টারেরা একটি প্রি-পেইড মোবাইল সিম কেনে। এখানেই উঠছে একাধিক প্রশ্ন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় পিংলার বাসিন্দা আকাশ পাল নামে এক যুবকের নামে। যে ব্যক্তির অস্বিত্বই নেই, সেই ব্যক্তির আধার কার্ড কিংবা বৈধ্য কাগজপত্র কীভাবে পেল গ্যাংস্টারেরা ? তাহলে কি দুষ্কৃতীরা জাল পরিচয়পত্র তৈরির লোকেদের সঙ্গে কথা বলেই আকাশ পালের নামে জাল পরিচয়পত্র বানিয়েছিল? তদন্তকারীদের ভাবাচ্ছে আরও একটি বিষয় তা হল, কেন দুষ্কৃতীরা বেছে নিল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাকেই ? কেন মৃত জয়পাল সিং ভুল্লার ও তার দল গোটা অপারেশনটি করতে যাচ্ছিল সেই জেলার সিম কার্ড কিনে? ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে রাজ্য পুলিশের এসটিএফের গোয়েন্দারা পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপারের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা করেছেন।
মোবাইল সিমটি কেনা হয় পিংলার বাসিন্দা আকাশ পালের আধার কার্ডের নম্বর দিয়েই। ফলে জেলা পুলিশ কথা বলছে সেখানকার একাধিক মোবাইলের দোকানের সঙ্গেও। গোয়েন্দারা আরও জানাচ্ছেন, পঞ্জাব পুলিশের হাতে ধৃত ভরত ওই সিম থেকে ফোন করত। ফলে খুব স্বাভাবিকভাবেই রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দারা ভরতকে জেরা করতে চাইছে। কারণ এই ভরতকে জেরা করলে বাইরে আসবে একাধিক জরুরি তথ্য ।