ভাইরাল অডিও-কাণ্ডে অবশেষে গ্রেফতার হল CPIM যুবনেতা কলতান দাশগুপ্ত
বেস্ট কলকাতা নিউজ : জুনিয়র চিকিৎসকদের ধরনায় রীতিমতো পরিকল্পনা করে হামলার ছক কষা হয়েছে বলে গতকালই অভিযোগ করেছিলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। একটি অডিও ক্লিপ প্রকাশ করে চাঞ্চল্যকর দাবিতে শোরগোল ফেলে দিয়েছিলেন কুণাল। তার পরপরই গ্রেফতার করা হয়েছিল সঞ্জীব দাস নামে একজনকে। এবার গ্রেফতার সিপিএমের যুব নেতা কলতান দাশগুপ্ত।
সল্টলেকে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে একটানা ধরনা-আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। ডাক্তারদের সেই ধরনায় হামলার ছক কষা হয়েছিল বলে দাবি করেছিলেন তৃণমূল নেতা কুনাল ঘোষ। রাজ্য সরকার ও শাসকদলকে অপদস্থ করতেই বিরোধীরা এই হামলার ছক কষেছিল বলে দাবি করেছিলেন কুণাল। সাংবাদিক সম্মেলন করে একটি অডিও ক্লিপ প্রকাশ করেছিলেন তৃণমূল নেতা। কুণালের দাবি ছিল, ফোনের এক পাশে যিনি রয়েছেন তাঁর নামের প্রথম অক্ষর ‘স’, ফোনের অন্য পারে থাকা ব্যক্তির নামের প্রথম অক্ষর ‘ক’।
কুণালের এমন বিস্ফোরক অভিযোগের পরেই তদন্ত শুরু করে পুলিশ। গতকালই গ্রেফতার করা সঞ্জীব দাস নামে একজনকে। এবার গ্রেফতার সিপিএমের যুব নেতা কলতান দাশগুপ্ত। DYFI-এর মুখপাত্রের সম্পাদক কলতান। কলকাতা জেলা কমিটির সদস্য এই তরুণ নেতা।
৫ দফা দাবিতে স্বাস্থ্য ভবন অভিযান শুরু করেছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। গত মঙ্গলবার দুপুর থেকে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে চলছে একটানা ধরনা। স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিকর্তা, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা, কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের পদত্যাগের দাবি-সহ মোট ৫ দফা দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধানের তৎপরতা নিয়েছিল রাজ্য সরকার। তবে দফায়-দফায় সেই প্রচেষ্টা চালানোর পরেও এখনও পর্যন্ত সমাধান সূত্র অধরা। মিথ্যা অভিযোগে কলতানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ, দাবি সিপিএমের রাজ্য নেতা সৃজন ভট্টাচার্যের। তাঁর কথায়, “মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হচ্ছে। আন্দোলনকে কোনওভাবে রাশ টানতে না পেরে ভয় দেখানোর জন্য এটা করেছে সরকার।”