ভুয়ো ভোটার ইস্যুতে অবশেষে পাশে এসে দাঁড়ালো কংগ্রেস! ভোটার লিস্ট নিয়ে সৌগত রায় মুখ খুলতেই সরব হলেন রাহুল গান্ধী
বেস্ট কলকাতা নিউজ : ‘ডুপ্লিকেট এপিক কার্ড’ ইস্যুতে না চাইতেই তৃণমূলের পাশে কংগ্রেস। লোকসভায় তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় সরব হতেই পাশে দাঁড়িয়ে মুখ খুললেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। ভুয়ো ভোটার কার্ড ইস্যুতে ইতিমধ্যেই একাধিকবার সরব হয়েছে তৃণমূল। সোমবার প্রথম সংসদ প্রসঙ্গটি তুলল পশ্চিমবঙ্গের শাসক দলের সাংসদরা। এদিকে, পাল্টা রোহিঙ্গা ইস্যুতে সরব হয়েছে বিজেপি।

সৌগত রায়ের বক্তব্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই দাবি তুলেছেন। মহারাষ্ট্র, হরিয়ানাতেও এই ইস্যু সামনে এসেছে। আর বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ ও অসমে এই সমস্যা দেখা যাচ্ছে। সম্পূর্ণ ভোটার লিস্ট পুনর্বিবেচনা করার দাবি জানিয়েছেন তিনি। কীভাবে এই সমস্যা হল, তা তদন্ত করে দেখা উচিত বলে দাবি করেছেন সাংসদ। তিনি বলেন, “নির্বাচন কমিশন বলেছে তিন মাসের মধ্যে তারা বিষয়টি দেখবে। আমরা দলের তরফে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের চিফ ইলেকশন কমিশনারের সঙ্গে দেখা করব।” সৌগতর বক্তব্য শুনে স্পিকার বলেছেন, সরকার ভোটার লিস্ট বানায় না। এই ইস্যুতে এদিন সংসেদ মুখ খুলেছেন আর এক তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তাঁর দাবি, নির্বাচনী নিয়ম মানছে না জাতীয় নির্বাচন কমিশন। গত এক বছর ধরে কোনও স্বচ্ছ নির্বাচন হয়নি বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। তাঁর দাবি, আধিকারিকদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত শাস্তি মূলক পদক্ষেপ করা উচিত।
এদিকে সৌগত রায়ের বক্তব্য চলাকালীন স্পিকারের মন্তব্যের পরই কথা বলেন রাহুল গান্ধীও। ডুপ্লিকেট ভোটার এপিক কার্ড নিয়ে সংসদে আলোচনার দাবি জানান তিনি। এরপর সংসদ চত্বরে দাঁড়িয়ে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) কেসি বেণুগোপালের দাবি, নির্বাচন কমিশনের জবাব নেতিবাচক। তিনিও বলেন, “আমরা সকলে চাই সংসদে আলোচনা হোক।” এদিকে, পাল্টা দাবি করেছেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। তাঁর বক্তব্য, ‘পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গাদের উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ভোটার করার অভিযোগ রয়েছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।’ সৌমিত্রর দাবি, পশ্চিমবঙ্গে বিডিও আধিকারিকদের ব্যবহার করে ভুয়ো ভোটার তৈরি করা হচ্ছে। রোহিঙ্গা এবং বাংলাদেশিদের ভোটার কার্ড দেওয়া হচ্ছে।