মণিপুরের পরিস্থিতি হার মানাবে সিরিয়া-লিবিয়াকেও, প্রাক্তন সেনা প্রধান সতর্ক করল কেন্দ্রকে

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : প্রায় দেড় মাস পেরিয়ে গেলেও মণিপুরে জাতিগত হিংসা থামার নামই নিচ্ছে না। মণিপুরে মেইতি এবং কুকি সম্প্রদায়ের মধ্যে হিংসার ঘটনা বেড়েই চলছে। এর মাঝেই আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বাংলোতে। কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের শান্তির আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছেন দুই সম্প্রদায়ের মানুষ। এর মাঝেই প্রাক্তন সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) বেদ প্রকাশ মালিক মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সরকারের কাছে রাজ্যে হিংসার ঘটনা অবিলম্বে বন্ধে যাবতীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আবেদন করেছেন।মণিপুরের পরিস্থিতি উদ্বেগজনক বলে বর্ণনা করে, তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংকে উচ্চ অবিলম্বে রাজ্যে শান্তি ফিরিয়ে আনতে জরুরি পদক্ষেপের লক্ষ্যে মনোযোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) নিশিকান্ত সিং মণিপুরের পরিস্থিতি সম্পর্কে টুইট করে লিখেছেন “আমি মণিপুরের একজন সাধারণ নাগরিক, অবসর গ্রহণের আমি এখানে জীবনযাপন করছি। রাজ্য এখন ‘রাষ্ট্রহীন’। লিবিয়া, লেবানন, নাইজেরিয়া, সিরিয়ায় যা ঘটছে। মণিপুরেও এখন সেই পরিস্থিতি। কখন কোথায় কে হিংসার বলি হবে সেই আতঙ্ক তাড়া করে বেড়াচ্ছে মণিপুরবাসীকে”।

নিশিকান্ত সিংয়ের টুইট রিটুইট করে প্রাক্তন সেনাপ্রধান লিখেছেন, “মণিপুরের অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেলের এমন মনোভাব থেকেই মণিপুরের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি কতটা ভেঙে পড়েছে তার আভাস মিলেছে। সরকারের অবিলম্বে পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে সেদিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন।

উল্লেখ্য, গত মাসের প্রথম দিকে কুকি আদিবাসী সম্প্রদায়ের একটি সমাবেশের পরে মণিপুরে হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। রাজ্যের সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতি সম্প্রদায়কে উপজাতি মর্যাদা দেওয়ার প্রতিবাদে এই সমাবেশ ডাকা হয়েছিল। রাজ্যে হিংসার কারণে এখন পর্যন্ত ১০০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে, এবং ৩০০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। আগুনে পুড়ে গেছে ১০ হাজারের বেশি ঘরবাড়ি। রাজ্যে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির ক্ষতি হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *