মানুষের মধ্যেও ছড়ায় বার্ড ফ্লু, লক্ষণগুলো কী কী ? জেনে নিন কীভাবে করবেন প্রতিকার
বেস্ট কলকাতা নিউজ : ধীরে ধীরে ক্রমশ বাড়ছে ভারতে বার্ড ফ্লুর প্রকোপ। বার্ড ফ্লু সৃষ্ট হয় এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস (H5N1) দ্বারা। এটি এমন একটা ভাইরাল সংক্রমণ যা ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ে আক্রান্ত পাখির সংস্পর্শে আসা অন্যান্য পাখি, প্রাণী এবং মানুষের মধ্যেও। একের পর এক এই সংক্রমণের ঘটনা সামনে আসায় পাখি নিধনের অভিযান শুরু হয়েছে এমনকি বেশ কিছু রাজ্যে।
বার্ড ফ্লু রয়েছে মূলত অনেক ধরণের। তবে H5N1 হ’ল এমন এক এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস যা সংক্রামিত করে মানুষকেও।ছড়িয়ে পড়ে বার্ড ফ্লু মূলত প্রাকৃতিকভাবে পাখি, জলজ পাখি বিশেষত বন্য হাঁস দ্বারা। এই রোগ খুব সহজেই ছড়িয়ে পড়ে পোষা মুরগির মধ্যেও। এই রোগটি ছড়িয়ে পড়ে আক্রান্ত পাখির মলের সঙ্গে সংস্পর্শে এলে, নাকের ক্ষরণ, মুখের লালা বা চোখ থেকে বেরিয়ে আসা জলের সংস্পর্শে এলে ।
এই ভাইরাস দ্বারা সহজেই আক্রান্ত হয় সংক্রামিত পাখির সংস্পর্শে আসা প্রাণী এবং মানুষ। এই ভাইরাসটি এত বিপজ্জনক যে এমনকি মৃত্যুও পর্যন্ত হতে পারে এর সংক্রমণের জেরে।এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি হাঁস-মুরগির সঙ্গে যুক্ত লোকেদের ক্ষেত্রে। এ ছাড়াও এমনকি সংক্রামিত স্থান পরিদর্শন করা, সংক্রামিত পাখির সংস্পর্শে আসা, কাঁচা বা রান্না করা ডিম খাওয়া বা আক্রান্ত রোগীদের যত্ন নেওয়া ব্যক্তিও বার্ড ফ্লু-তে আক্রান্ত হতে পারে।
এর লক্ষণগুলি হল – কাশি, ডায়রিয়া, জ্বর, শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা, মাথাব্যথা, পেশী ব্যথা, পেটে ব্যথা, বমি বমি ভাব, নিউমোনিয়া, গলা ব্যথা, নাকের স্রাব, অস্থিরতা, চোখের সংক্রমণ ইত্যাদি। আপনি যদি মনে করেন আপনার বার্ড ফ্লু হয়েছে, তবে অন্য কারও সংস্পর্শে আসার আগে পরামর্শ নিন একজন ডাক্তারের।
রক্ষা পাবেন কীভাবে ?
বার্ড ফ্লু এড়াতে জরুরি কিছু প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করে চলা। হাত ধুতে হবে ১৫ সেকেন্ড ধরে। সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিন ঘন ঘন ভাবে। সর্বদা সঙ্গে রাখুন হ্যান্ড স্যানিটাইজার।বিরত থাকুন এমনকি সংক্রামিত পোল্ট্রি ফার্মগুলির কাছে যাওয়া থেকেও। পিপিই কিট পরা উচিত পোল্ট্রি ফার্মগুলিতে কর্মরত লোকদের ক্ষেত্রেও। মুখ ভালোভাবে ঢেকে রাখতে হবে হাঁচি বা কাশির আগে। একই সঙ্গে দরকার মাস্কও ব্যবহার করাটাও। টিস্যু পেপার ব্যবহারের পরে রাখতে হবে ডাস্টবিনে।