মামুলি ফলের জাদুর কামাল সোলার সেলের শক্তি বৃদ্ধি করতে
বেস্ট কলকাতা নিউজ : আপনি যা কিছুই প্রকৃতি থেকে সংগ্রহ করুন না কেন, সেখানে ভালো গুণের পরিমাণ বেশি থাকে খারাপের তুলনায়। মানুষ যত উন্নত হয়েছে ততই বেশি করে আঁকড়ে ধরছে কৃত্রিম জিনিসকে। কিন্তু এবার প্রাকৃতিক রঙের জয়জয়কার হলো সেই কৃত্রিম রঙকে হার মানিয়ে। একটি বিশেষ ফলের থেকে পাওয়া প্রাকৃতিক রং ব্যবহার করা হল সোলার সেলকে শক্তিশালী করতে, যার কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। প্রায়ই একটি লাল ফল যুক্ত বিশেষ গাছ দেখতে পাবেন ঝাড়খণ্ডের জঙ্গলমহল এলাকায় গেলে। আসল শক্তি রয়েছে সেই ফলের লাল টুকটুকে খোসাতেই।
ফলটি দেখতে সুন্দর হলেও মুখে দেন না স্থানীয় মানুষজন , শুধুমাত্র ব্যবসায়ীরা এটিকে ব্যবহার করেন সিঁদুর প্রস্তুত করতে। এবার ন্যাচেরাল রং প্রস্তুত করা হল সেই লাল টুকটুকে ফলের খোসা ইথানলে ডুবিয়ে। ফটো সিন্থেসাইজার হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে এই লাল রঙকে। সেই রং দিয়েই এবার বানানো হলো ডাই সেনসেটাইজড সোলার সেল। ফলটির নাম সেন্ধুরি , রোহিণী বা রোরি। এই ফলটির জুড়ি মেলা ভার সূর্যের আলোকে শক্তিতে রূপান্তরিত করতে হলে । যে প্রক্রিয়ায় বহু অর্থ খরচ হয়, শুধুমাত্র এই ফলের রঙেই তা অত্যন্ত সহজেই হয়ে যাবে। ‘ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ এনার্জি ‘ রিসার্চে ইতিমধ্যে এই গবেষণা পত্রটি প্রকাশিত হয়েছে।
বিশেষ এই গবেষণার মূল ভূমিকায় রয়েছেন সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অফ ঝাড়খন্ডের এনার্জি ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক গবেষক বাসুদেব প্রধান। এ বিষয়ে গবেষণা চলছিল দীর্ঘ ছয় মাস ধরে। সোলার সেল ফলের খোসা থেকে তৈরি লাল রঙে ডোবাতেই রক্তিম আভায় পরিণত হয়। তখন এই সোলার সেল আগের থেকে বহুগুনে বেশি দ্রুত সূর্যের আলোকে শক্তিতে রূপান্তরিত করতে থাকে। যা কোনো ভাবেই সম্ভব নয় কৃত্রিম রঙে। খোসায় থাকা কারবোনাইল এবং হাইড্রোক্সিল রয়েছে এই জাদুর কামালের পিছনে। অতি অল্প খরচ ,অথচ আরো বেশি শক্তিশালী রূপে কাজে লাগানো যাবে সৌরশক্তিকে, অপেক্ষা করতে হবে শুধু ফল পাকা পর্যন্ত।