মায়ের দেহ উদ্ধার সকালে, কোনো খোঁজ নেই ৫ বছরের ছেলের, বিক্ষোভ চলল নারকেলডাঙা থানা ঘিরে

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : আনন্দপুরে অজ্ঞাত পরিচয় এক মহিলার দেহ উদ্ধার সকাল থেকেই ব্যাপক চাঞ্চল্য। ঝোপের ধার থেকে উদ্ধার হয়েছিল মহিলার রক্তাক্ত দেহ। শরীরে ছিল একাধিক আঘাতের চিহ্ন। যদিও শুরুতে তার পরিচয় জানা না গেলেও পুলিশের অনুমান ছিল কেউ বা কারা তাঁকে খুন করে ফেলে রেখে গিয়েছে। দিনভর তদন্ত যত এগোল ততই সেই সন্দেহই আরও পোক্ত হল। পুলিশ সূত্রে খবর, নারকেলডাঙাতে বাড়ি রেহানা বিবি নামে ওই মহিলার। তিl জলাতে মহিলার আরও একটা বাড়ি আছে। সেখানে একজন ট্যাক্সি চালককে সম্প্রতি ঘর ভাড়া নেন। সেখান থেকে ভাড়াটিয়াদের ভাড়া আনার কারণে প্রায়শই যাতায়াত ছিল মহিলার।

গিয়েছিলেন মঙ্গলবার সন্ধ্যাতেও। কিন্তু, রাত পর্যন্ত বাড়ি না ফিরলে পরিবারের সদস্যদের মনে বাড়তে থাকে সন্দেহ। বাড়ির লোক খোঁজখবর শুরু করে। নারকেলডাঙার বাড়ি গিয়ে অন্য ভাড়াটিয়াদের কাছে খোঁজ-খবর নেন। জানা যায়, রাত সাড়ে আটটা নাগাদ ট্যাক্সি করে বেরিয়ে যান ওই মহিলা। সঙ্গে ছিল তাঁর পাঁচ বছরের ছেলে মহম্মদ আরিস।

সন্দেহের তীর যায় সেখানে ওই ভাড়া বাড়িতে থাকা এক ট্যাক্সি চালকের দিকে। তার গতিবিধি দেখে সন্দেহ আরও দানা বাঁধে। যদিও রাতে সে কিছুই স্বীকার করেনি। এদিন সকালে দেহ উদ্ধারের পর পুলিশি জেরার মুখে খুনের কথা স্বীকার করে বলে জানা যাচ্ছে। ভাড়া দেওয়া নিয়ে বচসার জেরেই ছুরি দিয়ে মহিলার গলা কেটে খুন করা হয়। ধৃতের দাবি, সে নেশা করে। সেই সময় রাগের বশেই সে এমনটা করে ফেলেছে। এদিকে মহিলার দেহ মিললেও তার ছেলের কোনও খোঁজ এখনও মেলেনি। তাতেই ক্ষোভে ফুঁসছেন এলাকার লোকজন।

পুলিশ বারবার করে বাড়ির লোকজন এবং এলাকার লোকজনকে নানান অজুহাতে থানা থেকে ফিরিয়ে দিচ্ছে বলে অভিযোগ। তাতেই নারকেলডাঙা থানার সামনে বিক্ষোভে ফেটে পড়েছেন এলাকার লোকজন। ঘটনাস্থলে যান সিপিএম নেতা ইন্দ্রজিৎ ঘোষও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *