ভারত হেরে গেল’‘মাঠে আসতেই , রাহুল ‘অপয়া’ বললেন প্রধানমন্ত্রীকে , জোরালো প্রতিবাদ বিজেপির

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : টানা ১০ ম্যাচে অপ্রতিরোধ্য ছিল টিম ইন্ডিয়া। সেই রেকর্ড ভাঙল ফাইনাল ম্যাচে গিয়ে। আইসিসি বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে যায় ভারত । স্বপ্নভঙ্গ হয় কোটি কোটি ভারতবাসীর। কী কারণে ফাইনালে গিয়ে ভারত হেরে গেল, তা নিয়ে পাড়ার চায়ের দোকান থেকে অফিস কিংবা বাস-মেট্রো, সর্বত্রই চর্চা-বিশ্লেষণ চলছে। কেউ দলের অত্যাধিক আত্মবিশ্বাসকে দুষছেন তো কেউ খারাপ পিচ ও অস্ট্রেলিয়ার দুর্দান্ত ফর্মকেই জয়ের কৃতিত্ব বলে দাবি করছেন। এবার রাজনীতিতেও বিশ্বকাপের প্রভাব। বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারতের পরাজয়ের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী-কেই দুষলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী । মঙ্গলবার তিনি প্রধানমন্ত্রীকে ‘অপয়া’ বলেন এবং দাবি করেন, প্রধানমন্ত্রী খেলা দেখতে স্টেডিয়ামে আসার কারণেই ভারত হেরে গিয়েছে।

রাজস্থানের জালোরে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে রাহুল গান্ধী বলেন, “আমাদের ছেলেরা (টিম ইন্ডিয়া) প্রায় বিশ্বকাপ জিতে গিয়েছিল, কিন্তু অপয়া তাদের হারিয়ে দিল”। এখানেই আক্রমণ থামাননি রাহুল। প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে বিভিন্ন সময়ে পিছিয়ে পড়া শ্রেণির কথা বললেও, বাস্তবে তাদের উন্নতির জন্য কিছুই করেননি বলে দাবি করেন রাহুল। কেন্দ্র ওবিসিদের উন্নয়ন নিয়ে ভাবিত নয় বলেই দাবি করেন ওয়েনাডের সাংসদ। এদিকে, রাহুলের এই আক্রমণের পাল্টা জবাব দিয়েছেন বিজেপি নেতৃত্বরা। বিজেপি সাংসদ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবি শঙ্কর প্রসাদ বলেন, “রাহুল গান্ধী ভুল শব্দ নির্বাচন করেছেন। ওনার কী হয়েছে?”

সনিয়া গান্ধীও প্রধানমন্ত্রী মোদীকে ‘মত কা সওদাগর’ বলে যে কটাক্ষ করেছিলেন, তার প্রসঙ্গ টেনে এনে রবি শঙ্কর প্রসাদ বলেন, “আপনার মায়ের ওই মন্তব্যের পর আপনার দল গুজরাটে আর কোনও নির্বাচনে জয়ী হতে পারেনি। অতীত থেকে আপনার শিক্ষা নেওয়া উচিত।” অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনও রাহুল গান্ধীর তীব্র সমালোচনা করে বলেন, “অত্যন্ত নিন্দনীয় মন্তব্য। কংগ্রেস যেভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নানা নামে ডেকে অপমান করে, ও (রাহুল গান্ধী) কংগ্রেসের সেই ধারাই বজায় রাখছেন। এভাবে ক্রীড়াকে সমর্থন করা হবে? কংগ্রেস এভাবে আমাদের দেশের খেলাগুলিকে অনুপ্রাণিত করবে?”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *