মেয়ের আব্রু বাঁচাতে গিয়ে খুন বাবা, শ্যামপুর-কাণ্ডে ধৃত ২! কড়া শাস্তি চেয়ে ফুঁসছে গ্রাম
উলুবেড়িয়ার শ্যামপুরে মেয়ের সম্ভ্রম (Shyampur Murder) বাঁচাতে গিয়ে খুন বাবা। এই ঘটনার পর এখনও পর্যন্ত দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। আরও একজন পলাতক বলে দাবি মৃতের স্ত্রীয়ের। পিটিয়ে খুনের এই ঘটনায় পুলিস ক্লিনটন বাগ বলে এক অভিযুক্তকে মঙ্গলবার উলুবেড়িয়া মহকুমা আদালতে (Uluberia Court) তুলেছিল। তাঁকে ৫ দিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি মঙ্গলবার রাতে শান্তনু হাপড় নামে একজনকে উলুবেড়িয়া থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। বুধবার তাকেও আদালতে তোলা হবে। ধৃতদের বিরুদ্ধে খুন এবং পকসো আইনের (POCSO Case) একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। এই শান্তনু হাপড়কে মুল অভিযুক্ত হিসেবে কাঠগড়ায় তুলছে মৃতের স্ত্রী।
পরিবারের দাবি, প্রত্যেক অভিযুক্তকে কঠোর সাজা দিতে হবে। এদিকে, মঙ্গলবার গ্রামে মৃত গণেশ মণ্ডলের মৃতদেহ ফিরলে সাময়িক উত্তেজনা তৈরি হয়। মৃতদেহ ঘিরে শুরু হয় রাস্তা অবরোধ। পুলিস এসে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে অবরোধ ওঠে। সূত্রের খবর, যাঁদের বিরুদ্ধে পিটিয়ে মারার অভিযোগ, আগেও তাঁরা দুষ্কর্ম করেছে। কিন্তু কোনও এক বিশেষ প্রভাবে জেলের বাইরে থেকেছে। তাই এই মুহূর্তে গ্রামের সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার দাবিতে প্রত্যেককে গ্রেফতার করে কড়া শাস্তির পক্ষে সওয়াল করা হয়েছে।
অপরদিকে, মৃতের মেয়ের জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য পুলিস গ্রামে এলে, বাধা হয়ে দাঁড়ান গ্রামবাসীরা। ১৬৪ সিআরপিসি মোতাবেক জবানবন্দি রেকর্ডে নাবালিকা ও তার এক আত্মীয়কে পুলিস থানায় নিয়ে যেতে চাইলে, তার মা আপত্তি তোলেন। এতেই বেঁকে বসেন পড়শিরা। পুলিসের থেকে নাবালিকাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যান তাঁরা। এতেও তৈরি হয় সাময়িক উত্তেজনার পরিবেশ।