মোদী সরকার ক্রমাগত ধ্বংস করেছে দেশের ‘অর্থনীতি-গণতন্ত্রকে’, কংগ্রেসের জোর খোঁচা কৃষ্ণপত্র প্রকাশ করে
বেস্ট কলকাতা নিউজ : অবশেষে কেন্দ্রীয় সরকারের শ্বেতপত্রের পাল্টা কৃষ্ণপত্র পেশ করল কংগ্রেস । এদিকে কংগ্রেসের দাবি বিগত ১০ বছরে মোদী সরকারের জমানায় সমস্ত নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের লাগামছাড়া অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, ভয়ঙ্কর বেকারত্ব ও কৃষকদের চরম সমস্যা এবং সরকারের সার্বিক ব্যর্থতা নিয়েই এই কৃষ্ণপত্র প্রকাশ করা হয়েছে বলে। বৃহস্পতিবার কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে কৃষ্ণপত্র প্রকাশ করে বলেন, “দেশের অর্থনীতিকে সম্পূর্ণ ব্যর্থ করেছে এই সরকার। ১০ বছর ধরে দেশের জনগণকে চরম হেনস্থা করে, নানা উপায় চাপ সৃষ্টি করে টাকা আদায় করা হয়েছে, এবং সেই টাকা অবাধে নির্বাচনে ঢালা হয়েছে।”
এ দিন সরকারের বিরুদ্ধে কৃষ্ণপত্র প্রকাশ করে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে বলেন, “বিগত ১০ বছরে ৪১১ জন বিধায়ককে ভাঙিয়ে নিয়েছে বিজেপি। তাদের কত টাকা দেওয়া হয়েছে, সেটা বললাম না। আমাদের কত জায়গায় সরকার ছিল, কর্নাটক, মণিপুর, গোয়া, মধ্য প্রদেশ, রাজস্থান…কংগ্রেসের কত সরকারকে ফেলে দিয়েছে ওরা। এভাবেই ওরা গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দিচ্ছে।”
খাড়্গে এও বলেন, “আমরা সরকারের বিরুদ্ধে এই কৃষ্ণপত্র প্রকাশ করছি কারণ যখনই ওরা সংসদে কথা বলেন, ওরা শুধুমাত্র নিজেদের সাফল্য নিয়ে কথা বলে। কখনও ব্যর্থতা নিয়ে কোনো কথা বলে না। এমনকী, আমাদেরও কোনো কথা বলতে দেওয়া হয় না। এভাবেই অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে এই মোদী সরকার।”কংগ্রেস সভাপতি আরও বলেন, “আমাদের দেশে বেকারত্ব সবথেকে বড় সমস্যা। কিন্তু ওরা কখনও এই বিষয় নিয়ে কথা বলে না। ১০ বছরের হিসাব, পরিসংখ্যান তুলে ধরার কথা বলেন, কিন্তু কংগ্রেসের জমানায় কত কর্মসংস্থান হয়েছিল, বিজেপির শাসনে কত ভাল চাকরি হয়েছে, তা তুলে ধরেন না কেন আপনারা?”
এদিকে প্রধানমন্ত্রী মোদীকেও আক্রমণ করতে ছাড়েননি কংগ্রেস সভাপতি। মল্লিকার্জুন খাড়্গে আরোও বলেন, “জওহরলাল নেহরুর তৈরি পাবলিক সেক্টরগুলি, যেখান থেকে মূলত বিপুল কর্মসংস্থান হয়েছে, তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী কোনো কথা বলেন না। আপনারা ইন্দিরজি, রাজীবজি ও নেহরুজিকে আক্রমণ করেন, অপমান করেন। মনরেগা নিয়ে আপনারা কথা বলছেন না কেন? রাজ্যগুলির বরাদ্দ আটকে রেখেছেন , যার ফলে চরম সমস্যা হচ্ছে দেশের গ্রামাঞ্চলে। এমনকি কর্নাটক, তেলঙ্গানা কেরলের মতো রাজ্যও চরম বঞ্চনার শিকার হচ্ছে। নির্দিষ্ট সময়ে তহবিল ছাড়া হচ্ছে না। পরে বলছেন, আমরা তো টাকা দিয়েছিলাম, আপনারা খরচ করেননি। সঠিক সময়ে টাকা দিলে তবেই তো কাজ এগোবে।”