যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির সুযোগে জিনিসের লাগাম ছাড়া মূল্য বৃদ্ধি রুখতে বিশেষ অভিযানে নামলো টাস্ক ফোর্স
বেস্ট কলকাতা নিউজ : ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের আবহে গোটা দেশে এক অদ্ভুত পরিস্থিতি। কেন্দ্রের সঙ্গে বৈঠকের পর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও নবান্নে বৈঠক করেন। এর পরেই তিনি জানিয়েছিলেন, এই পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে যাতে অসাধু ব্যবসায়ীরা খাদ্যপণ্য কিংবা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়িয়ে না দেয়। তাঁর নির্দেশের পরেই অবশেষে এদিন ময়দানে নামল নবান্নের টাস্ক ফোর্স।

টাস্ক ফোর্সের সদস্য রবীন্দ্রনাথ কোলের নেতৃত্বে এদিন কোলে মার্কেট, বৌবাজার মাছ বাজার ও শিয়ালদা ডিম পট্টিতে হানা দেয় এই টাস্ক ফোর্স। সঙ্গে ছিল কলকাতা কর্পোরেশনের বাজার বিভাগের কর্মীরা ও কলকাতা পুলিশের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের কর্মীরাও । এদিন পরিস্থিতি স্বাভাবিক, দাম ঠিক আছে বলেই দাবি করে টাস্ক ফোর্স। এদিন শিয়ালদার পাইকারি কোলে বাজার ঘুরে পেঁয়াজ, আলু, আদা ও রসুনের দামও দেখেন টাস্ক ফোর্সের প্রতিনিধিরা। পাশাপশি কাঁচা সবজির দামও ঘুরে দেখেন তারা। এর পর আশপাশের খুচরো বিক্রেতারাও কত দামে বিক্রি করছেন তাও ঘুরে ঘুরে দেখেন তারা । এর পর তারা মাছ বাজারেও যান। পরবর্তী সময় ডিম পট্টিতে হানা দেয় টাস্ক ফোর্সের প্রতিনিধিরা।
রবীন্দ্রনাথ কোলে এদিন আরোও বলেন, “আমরা পাইকারি ও খুচরো দুই ধরনের বাজারেই খোঁজ নিয়েছি। দাম মোটের উপর ঠিক আছে। আলুর এখন যোগানে কোনও সমস্যা নেই ফলে দাম বাড়ার কোনও প্রশ্ন নেই। পেঁয়াজ ১৫ টাকা পাইকারী। খুচরো বাজারে ২০ -২২ টাকা প্রতি কেজি আছে। অনেক জায়গায় ২৫ টাকা বিক্রি করছে, তাদের নিষেধ করেছি। সবজির মধ্যে বেগুনের দাম বেশি। এতটা থাকা উচিত নয়। পাইকারি কেজি ৬০ টাকা ভালো বেগুন। খুচরো বাজারে আরও বেশি। এটা ঠিক নয়। এছাড়া সব দাম ঠিকই আছে। ডিম ৬ টাকা খুচরো বাজারে। পাইকারি বাজারে ৫ টাকা ৫০ পয়সা এক একটির দাম।”