রক্তের কালোবাজারির অভিযোগ উঠল মালদার এক নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে
বেস্ট কলকাতা নিউজ : মালদায় উঠল রক্তের কালোবাজারির অভিযোগ। রেড ভলান্টিয়ার্স ডাক্তারের সই জাল করে রক্তের রিকুইজিশন দেওয়া সহ কালোবাজারি ও অপব্যবহারের অভিযোগ তুলল একটি নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। এমনকি ওই নার্সিংহোমের এক কর্মী কার্যত নিজেদের ভুলও স্বীকার করে নিয়েছেন।
জানা গেছে , হরিশ্চন্দ্রপুরের বাসিন্দা অনিমা ঘোষকে কিডনির অপারেশনের জন্য ছেলে সুমিত ঘোষ ভর্তি করেন মালদা গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে একটি নার্সিংহোমে। রবিবার পাঁচ ইউনিট রক্ত জোগাড় করতে বলা হয় সুমিতকে। সেই মতো রক্ত জোগাড় করতে সুমিত শরণাপন্ন হন রেড ভলান্টিয়ারদের। রেড ভলান্টিয়াররা দুই ইউনিট রক্ত জোগাড় করে দেয় সুমিতকে। সোমবার ফের সুমিতকে তিন ইউনিট রক্ত আনতে বলে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। সুমিত ফের যোগাযোগ করে রেড ভলান্টিয়ারদের সঙ্গে।এরপর রেড ভলান্টিয়ার্সের সদস্যরা অবাক হয়ে যান রিকুইজিশনের কাগজ দেখে । রক্ত দেওয়ার আগে পেশেন্টের শরীরে হিমোগ্লোবিনের যা পরিমাণ ছিল, দুই ইউনিট রক্ত দেওয়ার পরেও একই আছে সেই পরিমাণ। এরপরেই সুমিতকে সঙ্গে নিয়ে নার্সিংহোমে এসে পৌঁছায় রেড ভলান্টিয়াররা। তারা হিমোগ্লোবিন টেস্টের রিপোর্ট দেখতে চায় নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের কাছে। কিন্তু কোনও রিপোর্ট দেখাতে পারেনি নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। এরপরই রেড ভলান্টিয়ার্স প্রশ্ন করতে শুরু করে রিকুইজিশন ফর্ম নিয়ে।
ওই নার্সিংহোমের এক কর্মী প্রীতম কুমার সাহা এও জানান, ডাক্তারবাবু তাঁকে ফিল-আপ করতে বলেছিল রিকুইজিশন ফর্ম। ভুলবশত তিনি ৮.৫ এর পরিবর্তে ৪.৫ লিখেছেন হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ। সেই সময় ডাক্তারবাবু নার্সিংহোমে না থাকায় রিকুইজিশন ফর্মে তিনিই সই করেছিলেন ডাক্তারবাবুর হয়ে। এই প্রসঙ্গে রেড ভলান্টিয়ার্সের পক্ষে মধুরিমা ঘোষ বলেন,”গতকাল দেওয়া হয়েছে দুই ইউনিট ব্লাড। তার পরেও কী করে একই থাকে রোগীর শরীরে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ ? যাই হোক, শরীরে হিমোগ্লোবিন টেস্টের রিপোর্ট কোথায় ? এমনকী গতকাল শরীরে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কম ছিল বলে রোগীর পরিবারকে যে রক্ত আনতে বলা হয়েছিল সেই টেস্টের রিপোর্টটাই বা কোথায় ? আপাতদৃষ্টিতে রক্তের দালালচক্র চলছে বলেই মনে হচ্ছে। যদি তা নাও হয় তাহলেও চলছে রক্তের অপব্যবহারও। এখনও ডাক্তারকে সামনে আনতে পারেনি নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষ বলছে, যিনি ফর্ম ফিলাপ করেছেন তিনি হয়তো ভুল করেছেন ।”