রাজঘাট নয়, মনমোহন সিংয়ের স্মৃতিসৌধর জন্য সম্ভাব্য তিনটি জায়গা চিহ্নিত করল কেন্দ্রীয় সরকার

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : মৃত্যুর পরও যেন বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না। প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ডঃ মনমোহন সিংয়ের প্রয়াণের পর থেকেই তাঁর শেষকৃত্য ও স্মৃতিসৌধ তৈরি নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। কংগ্রেস সহ বিরোধীরা লাগাতার সরকারকে চাপে ফেলার চেষ্টা করছে। কার্যত বিরোধীদের মুখ বন্ধ করিয়ে প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর স্মৃতিসৌধ তৈরির জন্য সম্ভাব্য তিনটি জায়গা আপাতভাবে চিহ্নিত করল কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের স্মৃতিসৌধ নির্মাণ হতে পারে একতা স্থল, বিজয় ঘাট অথবা রাষ্ট্রীয় স্মৃতিস্থলে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক, নগর উন্নয়ন মন্ত্রক এবং সিপিডব্লুডি -র বৈঠকে এই সম্ভাব্য তিনটি জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে।

এই তিনটি জায়গায় মধ্যে একতা স্থলে রয়েছে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি জৈল সিং-এর সমাধি। রাজঘাট সংলগ্ন একেবারে রাস্তার উপর অবস্থিত বিজয় ঘাটে রয়েছে দেশের দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর সমাধি। অন্যদিকে, রাষ্ট্রীয় স্মৃতিস্থল দেশের প্রয়াত গুরুত্বপূর্ণ জননেতাদের সমাধি তৈরির জন্যই বরাদ্দ। এর মধ্যে যমুনা নদীর তীরে রাজঘাট সংলগ্ন বিজয় ঘাট, যেখানে জওহরলাল নেহরু থেকে ইন্দিরা গান্ধী, রাজীব গান্ধীর স্মৃতিসৌধ রয়েছে, সেখানেই মনমোহন সিংয়ের স্মৃতিসৌধ তৈরির সম্ভাবনা বেশি। তবে মনমোহন সিংয়ের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

সৌধ নির্মাণের ট্রাস্টি বোর্ডে কারা থাকবেন, তা ঠিক করার এক্তিয়ারও সম্পূর্ণভাবে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের উপরেই। প্রসঙ্গত, গত ২৬ ডিসেম্বর মনমোহন সিংয়ের প্রয়াণের পর কেন্দ্রের তরফে প্রথমেই স্মৃতিসৌধ তৈরির ঘোষণা করা হয়নি। তাই নিয়ে রাজনীতির জলঘোলা করে কংগ্রেস। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে চিঠি দেন কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে। দাবি করেন সমাধিস্থলের। সেখানেই শেষকৃত্য করারও দাবি জানান। তবে প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর শেষকৃত্য হয় নিগমবোধ ঘাটে। এই নিয়েও আক্রমণ করতে ছাড়েননি কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। তিনি অভিযোগ করেন, মনমোহন সিংকে যোগ্য সর্বোচ্চ সম্মান দেওয়া উচিত ছিল সরকারের, যা তারা দেয়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *