রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু প্রথমবার সুখোই-৩০ যুদ্ধবিমানে সওয়ার করলেন তেজপুর বায়ুসেনা ঘাঁটি থেকে
বেস্ট কলকাতা নিউজ : আজ শনিবার আসামের তেজপুর এয়ার ফোর্স স্টেশন থেকে একটি সুখোই ৩০ এমকেআই যুদ্ধবিমানের ককপিটে বসলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু । দেশের দ্বিতীয় মহিলা রাষ্ট্রপতি হিসেবে যুদ্ধবিমানের ককপিটে বসলেন তিনি। এর আগে ২০০৯ সালে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাতিল সুখোই ৩০ যুদ্ধবিমানে সওয়ার হয়েছিলেন।এদিন সকালেই তেজপুর বায়সেনা ঘাঁটিতে পৌঁছান রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। সেখানে রাষ্ট্রপতিকে ‘গার্ড অফ অনার’ প্রদান করা হয়। এরপর সকাল ১০:৩০টার কিছু পরে রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে আকাশে উড়ে যায় যুদ্ধবিমান সুখোই ৩০ এমকেআই। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ছিলেন মহিলা ফাইটার পাইলটরা।
রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ৬ এপ্রিল আসামে পৌঁছান এবং কাজিরাঙ্গা জাতীয় উদ্যানে যান। ৭ এপ্রিল কাজিরাঙ্গা জাতীয় উদ্যান উদ্বোধন করেন। পার্কে দু’দিনের ‘গজ ফেস্টিভ্যাল’ উদ্বোধনের পর তিনি গুয়াহাটিতে গৌহাটি হাইকোর্টের ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন।সুখোই ৩০ এমকেআই হল একটি টুইন-সিটার মাল্টিরোল ফাইটার জেট যা রাশিয়ার সুখোই এবং ভারতের মহাকাশ জায়ান্ট হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড দ্বারা তৈরি। মাঝ-আকাশে ডগ-ফাইটে এই বিমানের জুড়ি মেলা ভার। এই বিমান শত্রুর কোনও সামরিক ঘাঁটি বা ভূমিতে থাকা কোনও লক্ষ্যবস্তুকে গুঁড়িয়ে দিতে সক্ষম।
রাশিয়ার থেকে প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে ভারতেই তৈরি সুখোই-৩০। সুখোইয়ের সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ২ হাজার ১২০ কিলোমিটার। সর্বোচ্চ টেক-অফ লিফ্ট ৩৮ হাজার ৮০০ কেজি। বিভিন্ন ধরনের বম্ব, রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র বহনে সক্ষম সুখোই। এই বিমানটি ৮১৩০ কেজি পর্যন্ত ভার বহন করতে সক্ষম।