রাহুল গান্ধী দোষী সাব্যস্ত হল মোদী পদবি’ মানহানি মামলায় , ২ বছরের কারাদণ্ডের সাজা দিল আদালত
বেস্ট কলকাতা নিউজ : মোদীর পদবি ব্যবহার নিয়ে মানহানির মামলায় রাহুল গান্ধী-কে দোষী সাব্যস্ত করল আদালত। বৃহস্পতিবার গুজরাটের সুরাটের একটি আদালতে এই মানহানি মামলার শুনানি ছিল। আজ আদালতে হাজিরা দিতে যান কংগ্রেস নেতা। আদালতে মোদীর পদবি ব্য়বহার করে অবমাননার মামলায় রাহুল গান্ধীকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। দুই বছরের জন্য জেলের সাজা ঘোষণা করা হয়। তবে এ দিনই জামিনও পেয়ে যান রাহুল। এদিকে, আদালতের রায় ঘোষণার পরই কংগ্রেসের তরফে সুরাট জুড়ে পোস্টার লাগানো শুরু হয়েছে। ২০১৯ সালে রাহুল গান্ধী যে মন্তব্য করেছিলেন, তার সুর ধরেই পোস্টারে লেখা, “সমস্ত চোরেদের পদবি মোদী হয় কেন?”
উল্লেখ্য ,২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে মোদী পদবি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। কর্নাটকের কোলারে একটি জনসভা চলাকালীন রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, “সমস্ত চোরেদের নামেই কেন মোদী পদবি রয়েছে? সে নীরব মোদীই হোক, বা ললিত মোদী কিংবা নরেন্দ্র মোদী?”
রাহুল গান্ধীর এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতেই গুজরাটের সুরাটের বিজেপি বিধায়ক তথা প্রাক্তন মন্ত্রী পুর্ণেশ মোদী রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন। অভিয়োগ করা হয়েছিল, রাহুল গান্ধী এই বিতর্কিত মন্তব্য করে গোটা মোদী সম্প্রদায়কেই অপমান করেছেন। ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে শেষবার এই মামলায় আদালতে হাজিরা দিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। সেই সময় তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হয়। গত সপ্তাহেই মোদী পদবি ব্য়বহার করে মানহানির মামলায় দুইপক্ষের চূড়ান্ত বয়ান রেকর্ড করেন চিফ জুডিসিয়াল ম্য়াজিস্ট্রেট এইচএইচ ভর্মা। ওই দিনই তিনি ঘোষণা করেছিলেন যে আজ এই মামলার রায়দান করা হবে। আজ সকালেই সুরাটের আদালতে হাজিরা দেন রাহুল গান্ধী।
মানহানির মামলায় আদালতের তরফে রাহুল গান্ধীকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৯ ও ৫০০ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়। দুই বছরের সাজা ঘোষণা করা হয়, পাশাপাশি ১৫ হাজার টাকা জরিমানারও করা হয়। তবে সঙ্গে সঙ্গেই জামিন পেয়ে যান রাহুল। জানা গিয়েছে, ৩০ দিনের জন্য় জামিন পেয়েছেন কংগ্রেস নেতা। এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ফের আবেদন করতে পারবেন বলেও জানানো হয়েছে। আদালতে রায় ঘোষণার পরই রাহুল গান্ধীর আইনজীবী বলেন, “শুরু থেকেই বিচার ব্যবস্থায় গাফিলতি ছিল। এই মামলায় বিধায়ক পুর্ণেশ মোদী নয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অভিযোগ জানানো উচিত ছিল,কারণ রাহুল গান্ধী তাঁর বক্তব্য়ে প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করেছিলেন।”