রুবি মোড় অবশেষে “রবি মোড়”হল নাম পাল্টে, রাজ্য সরকারের উদ্যোগে বসল রবীন্দ্রনাথের মূর্তি
বেস্ট কলকাতা নিউজ : কলকাতার রুবি মোড়ে। নাম বদলে এলাকার নাম হচ্ছে রবি মোড়। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে বসছে চলেছে রবীন্দ্রনাথের মূর্তি, এক লক্ষ টাকা দাম দিয়েই এই মূর্তি কিনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।স্বাভাবিকভাবেই হাসি ফুটেছে সংসার চালাতে হিমশিম খাওয়া শিল্পী জগৎ মণ্ডলের মুখে। রবীন্দ্রনাথের পূর্ণাবয়ব মূর্তিটি রাখা ছিল কালনা শহরের নতুন বাস স্ট্যান্ডের কাছে এসটিকেকে রোডের ধারে। মূর্তিটি হয়তো কোথাও বসানো হবে, তাই রেখে দেওয়া হয়েছে, স্থানীয়রা এমনই ভেবেছিলেন।
কিন্তু তাঁদের ভুল ভাঙে সামনে যেতেই। মূর্তির তলায় তাঁরা দেখেন, ‘ফর সেল’ লেখা। কৌতূহলী কেউ কেউ শিল্পীকে ফোনও করেন । কিন্তু দাম শুনে সকলে পিছিয়ে গিয়েছেন । জগতের আশা ছিল, এই রাস্তায় বহু মানুষের যাতায়াত। কেউ না কেউ নিশ্চয়ই করবেন শিল্পীর গুণের কদর। তাঁর সেই আশাই সত্যি হল। সংবাদ মাধ্যমে সেই খবর প্রকাশ হতেই শিল্পীর খদ্দের পেতে আর বেশি দেরি হয়নি।
কালনার যোগীপাড়ার বাসিন্দা জগৎ, অ্যাকাডেমি অফ ক্রিয়েটিভ আর্টস থেকে তিন বছরের ডিপ্লোমা করেছেন। প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হন তিনি। বাড়িতে স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে সংসার। রাজ্যস্তরে ২০০৩, ২০০৪, ২০০৫–পর পর তিন বছর দারুশিল্পে পুরস্কার জিতে নিয়েছেন জগৎ। জানালেন, ১০ ফুট উচ্চতার রবীন্দ্রমূর্তিটি তৈরি করতে সময় লেগেছে মাস দেড়েক। ফ্রেঞ্চ চক, মার্বেল ডাস্ট, রাসায়নিক ও রড দিয়ে মূর্তিটি তৈরি।
তিনি জানান বহু মানুষের যাতায়াত এসটিকেকে রোডে। যদি শিল্পানুরাগী কারও চোখে পড়ে, তাই রাস্তার পাশে রেখে দিয়েছিলাম বিক্রির জন্য। হতাশা এসেছিল। ভেবেছিলাম ক্রিয়েটিভ আর্টস নিয়েই বেঁচে থাকব। কিন্তু বাজার নেই। হিমশিম খাচ্ছি সংসার চালাতে। তাই ঠিক করেছি, আর সৃষ্টিমূলক কোনও কাজ করব না এই মূর্তিটি বিক্রি হয়ে গেলে। রোজগারের পথ খুঁজব কাঠের আসবাবপত্র তৈরি করেই ।এখন আর সেই হতাশা নেই। এক কথায় এক লাখে বিক্রি হয়ে গিয়েছে তাঁর তৈরি এই ভাস্কর্য।এমনকি বসছে কলকাতার বুকে রুবি মোড়ের মতো এক জনবহুল এলাকায়। স্বাভাবিকভাবেই খুশি ভাস্কর জগৎ মন্ডলও ।