শিক্ষকরা স্কুলছুট দের কাছে হাজির পরীক্ষা দিতে আসার অনুরোধ নিয়ে
বেস্ট কলকাতা নিউজ : করোনা মহামারী শুরু হবার পর থেকেই অনেকেই পড়াশুনা থেকে অবসর নিয়েছে পেটের টানে হোক কিংবা অন্য কোনো কারণে । কেউ কেউ কাজে যুক্ত হয়েছে সংসার চালানোর দায়িত্ব নিয়ে। আবার কেউ কেউ পড়াশোনা থেকে অবসর নিয়ে নিয়েছে কোনো কারণ ছাড়াই। তাই পূর্ব বর্ধমান জেলার আউসগ্রাম এর কয়রাপুর বিদ্যাসাগর বিদ্যাপীঠ এর প্রধান শিক্ষক ও সহ শিক্ষকরা তাদের কাছে স্কুল ফিরে আসার কাতর অনুরোধ নিয়ে হাজির ।
পূর্ব বর্ধমানের কয়রাপুর বিদ্যাসাগর বিদ্যাপীঠ এর প্রধান শিক্ষক সতীনাথ গোস্বামী ও তারসহ শিক্ষকরা ঘুরে দেখেন আউসগ্রাম এর কয়েকটি গ্রামে স্কুলছাত্রদের বাড়ি। টেস্ট পরীক্ষা দিতে যায়নি অনেক মাধ্যমিক ছাত্র ,তাই অনুরোধ করে পরীক্ষা দিতে যাওয়ার কথা বলেন অভিভাবকদের কাছে এসে।
এমনকি প্রধান শিক্ষক মহাশয় জানান তাদের বই-খাতা খরচসহ পড়াশুনার যাবতীয় খরচ স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা নেবেন বলেও। শিক্ষকরা খোঁজ নিতে গিয়ে আরও জানতে পারে কেউ কেউ মাঠে ধান কাটার কাজে লেগে গেছে আবার কেউ কেউ ভিন রাজ্যে পাড়ি দিয়েছেন কাজের উদ্দেশ্যে। শিক্ষকরা এক ছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে দেখতে পায় ওই ছাত্রী শুকনো খড় কাটছে গরুর খাবারের জন্য। প্রধান শিক্ষক মহাশয় স্কুলে যাওয়ার অনুরোধ করেন সেই ছাত্রীকেও।উল্লেখ্য, কয়রাপুর বিদ্যাসাগর বিদ্যাপীঠে আউসগ্রাম এর পার্শ্ববর্তী কয়েকটি গ্রাম মিলে প্রায় সাড়ে ৫০০ ছাত্র-ছাত্রী পড়াশুনো করে। তাদের মধ্যে ৮৩ জন ছাত্র-ছাত্রী উপস্থিত হয়েছিল মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে । বাকিরা পরীক্ষা দিতে বসেনি।
প্রধান শিক্ষক সতীনাথবাবু বলেন স্কুলের তরফ থেকে দেওয়া হবে চারদিনের দিনমজুরের টাকাটাও। এছাড়াও সমস্ত বই খাতা সহ পরীক্ষার ফী নেওয়া হবে না বিদ্যালয় তরফ থেকেও। আদিবাসী সম্প্রদায়ভুক্ত স্কুলের এক শিক্ষকও ছাত্রদের স্কুলে ফেরানোর অনুরোধ জানান তাদের সঙ্গে আদিবাসী ভাষায় কথা বলে।