সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা দেশব্যাপী প্রতিবাদ আন্দোলনের পাশাপাশি কুস্তিগীরদের ধর্ণার বিরুদ্ধে দিল্লি পুলিশের অত্যাচারের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে
দিল্লি, ৩০ মে, ২০২৩: সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা ভারতীয় কুস্তিগীর এবং সমাজের অন্যান্য সকল অংশের প্রতিবাদ করার গণতান্ত্রিক অধিকার সুরক্ষিত করতে এবং বিজেপি সাংসদ ব্রিজভূষণ শরণ সিংকে গ্রেপ্তারের দাবিতে দেশব্যাপী আন্দোলনের ডাক দিয়েছে।এসকেএম ১ জুন ২০২৩-এ জেলা ও ব্লক স্তরে ব্যাপকভাবে বিক্ষোভ দেখানোর এবং কুশপুত্তলিকা পোড়ানোর কর্মসূচির ঘোষণা করেছে৷ এসকেএম এই কর্মসূচিকে ব্যাপকভাবে সফল করতে ট্রেড ইউনিয়ন, মহিলা, যুব, ছাত্র, বুদ্ধিজীবী, সামাজিক আন্দোলন-সহ অন্যান্য সকল অংশের মানুষের সঙ্গে সমন্বয় করবে।
৫ জুন ২০২৩ মহন্ত এবং আরএসএস কর্মীরা অযোধ্যায় যৌন উৎপাদনকারী ও অপরাধী সাংসদ ব্রিজভূষণ শরণ সিং-এর সমর্থনে সমাবেশ ও পদযাত্রা করছে। এসকেএম ওই দিনই তার বিরোধিতায় ব্রিজভূষণের অপরাধমূলক আচরণকে প্রকাশ্যে আনবে এবং গ্রাম ও শহরের বিভিন্ন স্তরে গোটা ভারত জুড়ে অপরাধী ব্রিজভূষণের কুশপুত্তলিকা পোড়াবে। গত ২৯ মে এসকেএমের বর্ধিত সমন্বয় কমিটির সভায় উপরোক্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
২৮ মে মহিলা কুস্তিগীররা মহিলা সম্মান মহাপঞ্চায়েতের ডাক দিয়েছিল। সেই দিন কুস্তিগীরদের প্রতিবাদের নির্মম দমনের এসকেএম তীব্র নিন্দা করে। প্রতিবাদী কুস্তিগীরদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তার ও এফআইআরের নিন্দাও করেছে এসকেএম।
প্রতিবাদকারী কুস্তিগীরদের যৌন উৎপীড়নের প্রেক্ষাপটে মোদি সরকারের নিষ্ক্রিয়তা প্রমাণ করে যে এই সরকার নারীবিরোধী এবং জনবিরোধী। সরকারের এই অনৈতিক পদক্ষেপ নাগরিকদের প্রতিবাদ করার অধিকারকে লঙ্ঘন করে, যা মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট তার বক্তব্যে বারবার বহাল রেখেছে। মনে রাখতে হবে রাকেশ বৈষ্ণবের মামলায় সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল: “.. প্রতিবাদ করার অধিকার মৌলিক অধিকারের অংশ এবং নিয়ম মাফিক প্রয়োগ করা যেতে পারে৷ অবশ্যই এই ধরনের অধিকার প্রয়োগে কোন বাধা হবে না যতক্ষণ না এটি অহিংস হয়, অন্যান্য নাগরিকদের জীবন ও সম্পত্তির ক্ষতি না করে এবং আইন অনুসারে হয়।” মাননীয় আদালত আরও যোগ করেছিল “.. এই পর্যায়ে আমরা মনে করি যে কৃষকদের বিক্ষোভকে বাধা দেওয়া যায় না যতক্ষণ বিক্ষোভকারী বা পুলিশের দ্বারা শান্তি ভঙ্গ না হয়।”
সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে এফআইআর প্রত্যাহার এবং ব্রিজভূষণ শরণ সিংকে গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছে।এসকেএম আগামী ৫ জুনের পর পরবর্তী রণনীতি নির্ধারণের জন্য দিল্লিতে বৈঠক ডাকবে।