শেষ মুহূর্তে বাতিল কুস্তিগীরদের পদক বিসর্জনের সিদ্ধান্ত , মুখ খুললেন ব্রিজভূষণও

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : চরমে কুস্তিগীরদের বিক্ষোভ । মঙ্গলবারই হরিদ্বারের গঙ্গায় অলিম্পিকে প্রাপ্ত পদক বিসর্জন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কুস্তিগীররা । শেষ মুহূর্তে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এলেন তাঁরা। কৃষক নেতা রাকেশ টিকাইতের অনুরোধে এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এলেন কুস্তিগীররা। কেন্দ্রীয় সরকারকে পাঁচদিনের সময় দেওয়া হয়েছে বিক্ষোভকারী কুস্তিগীরদের তরফে। এই সময়ের মধ্যে যদি সমস্যার সমাধান না হয়, তাহলে তাঁরা পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন। এদিকে, কুস্তিগীরদের এই সিদ্ধান্তের পরই রেসলিং ফেডারেশন অব ইন্ডিয়া-র প্রধান ব্রিজভূষণ সরণ সিং-ও মুখ খুললেন। ব্রিজভূষণ, যার বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন কুস্তিগীররা, তিনি বলেন, “যদি খেলোয়াড়রা নিজেদের মেডেল বিসর্জন দিতে চান, তাহলে আমরা কী করতে পারি?”

রবিবার সংসদ ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের দিনই বিক্ষোভে পথে নেমেছিলেন কুস্তিগীররা। তাদের আটকাতে দিল্লি পুলিশও কড়া পদক্ষেপ করে। টেনে-হিচড়ে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয় বজরং পুনিয়া, সাক্ষী মালিক, বীনেশ ফোগটকে। এরপরই তাঁরা পদক বিসর্জন দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। মঙ্গলবার হরিদ্বারের হর কি পৌড়ি ঘাটে যান পদক বিসর্জন দিতে। তবে শেষ মুহূর্তে তাঁরা কৃষক নেতা রাকেশ টিকাইতের কথায় পদক বিসর্জনের পরিকল্পনা বাতিল করেন এবং মেডেলগুলি রাকেশ টিকাইতের হাতে তুলে দেন। কুস্তিগীররা জানিয়েছেন, তাঁরা কেন্দ্রীয় সরকারকে পাঁচদিন সময় দিচ্ছেন। এই সময়ের মধ্যে যদি রেসলিং ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ার প্রধান ব্রীজভূষণ সিংকে গ্রেফতার না করা হয়, তবে তাঁরা ফের আন্দোলন শুরু করবেন বলে জানিয়েছেন।

এদিকে, কুস্তিগীরদের বিক্ষোভ নিয়ে ব্রিজভূষণ সরণ সিং বলেন, “কুস্তিগীররা তাঁদের পাওয়া মেডেল গঙ্গায় বিসর্জন দিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু গঙ্গায় ভাসানোর বদলে তা রাকেশ টিকাইতকে দিয়ে দিল। এটাই তাঁদের অবস্থান। এবার আমরা কী কররতে পারি?” কুস্তিগীরদের দাবি মেনে ইস্তফা দেবেন কিনা, এই প্রশ্নের উত্তরে বিজেপি সাংসদ বলেন, “এবার তো আর কোনও প্রশ্নই আসে না ইস্তফা দেওয়ার। আমার পদের মেয়াদ শেষ, শীঘ্রই নির্বাচন হবে। তাছাড়া দিল্লি পুলিশ এই বিষয় নিয়ে তদন্ত করছে। দেখা যাক ভবিষ্যতে কী হয়। আমাদের হাতে আর কিছু নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *