সকাল-সকাল আপনার পেট সাফ হবে ঘিয়ের সঙ্গে ‘গুড়-বাতাসা’ মিশিয়ে নিলেই
বেস্ট কলকাতা নিউজ : চড়তে শুরু করেছে তাতে চরম অস্বস্তিতে পড়েছেন সকলেই। ফ্যান চালালে শীত করছে আবার না চালালেও অস্বস্তি থাকছে। বেলা গড়াতেই ঠা ঠা রোদ, ঘাম। খাবার খেতে ইচ্ছে করছে না, বার বার জল তেষ্টা পাচ্ছে এছাড়াও কোন খাবারে যে হঠাৎ করে গ্যাস, অম্বল হয়ে যাচ্ছে তা ধরাও যাচ্ছে না। গরমে পেটের সমস্যা, হজমের সমস্যা খুবই বাড়ে। একটু এদিক থেকে ওদিক হলেই গ্যাস, অম্বল হয়ে যায়। যে কারণে গরমের দিনে যত বেশি হালকা খাবার খাওয়া যায় ততই ভাল। রোজ একবাটি করে টকদই, ডাবের, জল, ফল এসব রাখুন মেনুতে। দুপুরের পাতে পড়ুক হালকা শুক্তো, ডাল, মাছের ঝোল। এই সময় কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও বাড়ে। আর তাই সেদিকেও নজর রাখা জরুরি।
পেট পরিষ্কার না হলে সারাদিন ধরে শরীরে একটা অস্বস্তি থেকেই যায়। আর তাতে যেন আরও বেশি খাকাপ লাগে। কোনও কাজে মন বসে না, কোনও খাবার খাওয়ার ইচ্ছে থাকে না। আর একাটা কোষ্ঠাকাঠিন্য শরীরের জন্য একেবারেই ভাল নয়। আর তাই প্রথমেই ওষুধ, ভঊষি এসব না খেয়ে কাজে লাগান ঘরোয়া এই টেোটকা। এতে পেট ঠান্ডা হবে আর কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাো কিন্তু দূর হবে।
অতিরিক্ত মাত্রায় ঘি খেলে ওজন যেমন বাড়ে, কিন্তু নির্দিষ্ট পরিমাণ ঘি, নিয়মিত সঠিক পদ্ধতি মেনে খেতে পারলে তা ওজন কমাতেও সাহায্য করে। বিভিন্ন গবেষণাতেই তা দেখা গিয়েছে। ঘিয়ের অনেক গুণ রয়েছে। এমন অনেক পেটের সমস্যা আছে, যা নিরাময় করে ঘি। তবে এ ক্ষেত্রে শুধু ঘিতে কাজ হবে না। ঘিয়ের সঙ্গে মেশাতে হবে গুড়ের বাতাসা। গোরুর দুধে থাকে ভিটামিন এ, ডি, কে এবং ক্যালশিয়াম। আর বাতাসার মধ্যে থাকে ফসফরাস, পটাশিয়াম। এই সব যৌগ একসঙ্গে খুব ভাল কাজ করে। গুড়ের বাতাসা গুঁড়ো করে নিয়ে তা গাওয়া ঘি এর মধ্যে মিশিয়ে নিন। সকালে ঘুম থেকে উঠে এক চামচ এই ঘি-বাতাসা খান। এর ১৫ মিনিট পর খান একগ্লাস জল। এতে অন্ত্রের যে কোনও সমস্যা মিটবে। হজম ভাল হবে। ঘিয়ের মধ্যে থাকে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। যা হাড়ের জন্য খুব ভাল। এছাড়াও এই মিশ্রণ ওজন বাড়াতে সাহায্য করে।