সময়সীমা কাটলেও ফেরেনি সব রাস্তার হাল, পুজোর আগে বাকি কাজ শেষ করার নির্দেশ মেয়র ফিরহাদ হাকিমের

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : কলকাতার সংযুক্ত এলাকার বেহালা, জোকা, যাদবপুর-সহ একাধিক জায়গায় বছরের পর বছর নরক যন্ত্রণার শিকার হতে হচ্ছে নাগরিকদের । সৌজন্যে কলকাতা এনভায়রনমেন্ট ইমপ্রুভমেন্ট অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট প্রজেক্ট (কেইআইআইপি)। ২০১৮ সাল থেকে লাগাতার কাজ চললেও শেষ কবে হবে, তার উত্তর নেই । সেই দুর্ভোগ মেটাতে গত জুলাই পর্যন্ত সময়সীমা দেওয়া হয়েছিল কেইআইআইপি-কে । কাজ শেষ না-হলে আধিকারিকদের শোকজ করা হবে বলে জানিয়েছিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম । তবে জুলাই গিয়ে অগস্ট মাস পড়লেও শেষ হয়নি সব কাজ । এবার শোকজের পরিবর্তে ফিরহাদ হাকিম সময়সীমা বাড়িয়ে করলেন পুজোর আগে পর্যন্ত ।

পাশাপশি আশিয়ান ডেভলপমেন্ট ব্যাঙ্কের টাকায় শুরু হল কেএমসি শার্প প্রজেক্টের কাজ । সেনিয়েও এদিন আলোচনা হয় বৈঠকে । উন্নয়ন ভবনে হয় এই বৈঠক । কলকাতা এনভায়রনমেন্ট ইমপ্রুভমেন্ট অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট প্রজেক্ট এর কাজের খতিয়ান দেখতে সোমবার বৈঠক করেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। উন্নয়ন ভবনে এক ঘন্টার পর্যালোচনা বৈঠক হয় । শহরজুড়ে রাস্তার বেহাল দশা নিয়ে রিভিউ করা হয় এই বৈঠকে । বেহালা, বাইপাস-সহ সংযুক্ত এলাকার নিকাশি ও পানীয় জল এবং রাস্তার পরিকাঠামো তৈরির সামগ্রিক কাজের খতিয়ান জানতে এবং এই প্রজেক্টের কাজ কী পর্যায়ে, তার রিভিউ করতেই আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন মেয়র । সেখানেই জুলাই থেকে সময়সীমা বেড়ে হল পুজোর আগে পর্যন্ত । সিদ্ধান্ত হয়, পুজোর আগে বাকি থাকা কাজ শেষ করতে হবে । বৈঠকে মেয়র ছাড়াও কমিশনার ধবল জৈন, কেইআইআইপি-র আধিকারিকরা ছিলেন । আলোচনা হয় কেএমসি শার্প ট্রেঞ্চ থ্রি-এর প্রজেক্ট নিয়েও ।

বৈঠক শেষে এদিন ফিরহাদ হাকিম বলেন, কেইআইআইপির কাজের জন্য অনেকগুলো রাস্তা খারাপ হয়ে গিয়েছিল । ৫৮ টি রাস্তার মধ্যে ৩৮ টি রাস্তা কমপ্লিট করেছে । ১২ টা রাস্তা ৫০ শতাংশ কাজ হয়েছে । আর কিছুদিনের মধ্যে পুরোটা করে দেওয়া হবে । আটটা রাস্তা যেখানে কাজ হচ্ছে এখনও, সেই রাস্তাগুলো বাকি থাকবে । যেমন বাখড়াহাট রোড । এই রাস্তাগুলো খারাপ আছে । তিনি আরও দাবি করেন, “বেশিরভাগ প্রধান রাস্তাগুলো মেরামত হয়ে গিয়েছে সম্পূর্ণভাবে । সেখানে খানাখন্দ কিছু নেই । যেমন ইএম বাইপাস । যেখানে অল্প বৃষ্টিতেই পিচ উঠে যায়, জল জমে যায়, সেখানে আমরা এখন থেকে কংক্রিটের ব্লক দিয়ে রাস্তা তৈরি করব । বাকি রাস্তাগুলিতে আমরা প্লাস্টিক মিশিয়ে রাস্তা তৈরি করছি । যাতে আরও বেশি শক্ত হয়, বৃষ্টির ফোঁটা বা জল ঢুকতে না পারে । ইস্টার্ন বাইপাস মোমিনপুর, মাঝেরহাট ব্রিজের নিচে রাস্তাগুলো এভাবেই তৈরি হচ্ছে ।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *