সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দাপুটে তৃণমূল নেতার অসুস্থ কুকুরের? ব্যাপক শোরগোল শুভেন্দুর দাবিতে

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : আরজি কর হাসপাতালের নারকীয় ঘটনা নিয়ে এখনও উত্তাল পরিস্থিতি বঙ্গে। ঠিক এই আবহে এবার সরকারি হাসপাতালে তৃণমূল নেতার পোষা কুকুরের চিকিৎসা করানোর অভিযোগ উঠল। ঘটনাটি সাতগাছিয়া বিধানসভার অন্তর্গত বিষ্ণুপুর ২ ব্লকের। অভিযোগ, বিষ্ণুপুর ২ ব্লকের তৃণমূলের সভাপতি নবকুমার বেতালের বাড়ির অসুস্থ কুকুরকে অ্যাম্বুল্যান্সে চাপিয়ে সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এমনই একটি ভিডিও সমাজ মাধ্যমে পোস্ট করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকেরা অসুস্থ কুকুরটির চিকিৎসা করেন বলেও দাবি।

নবকুমারের স্ত্রী সোমাশ্রী বেতাল দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সদস্য তথা কর্মাধক্ষ্য। অভিযোগ, গত ২ সেপ্টেম্বর নবকুমার-সোমাশ্রীর মেয়ে বাড়ির পোষ্যকে অ্যাম্বুল্যান্সে চাপিয়ে আমতলা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন। হাসপাতালের বাইরে দাঁড় করানো হয় অ্যাম্বুল্যান্সটি। হাসপাতালের চিকিৎসকেরা বেরিয়ে এসে অ্যাম্বুল্যান্সের মধ্যেই অসুস্থ কুকুরটির চিকিৎসা করেন বলে অভিযোগ।

তৃণমূলের স্থানীয় এক পঞ্চায়েত প্রধান গোটা ঘটনাটি তদারকি করেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। সমাজ মাধ্যমে একটি ভিডিও পোস্ট করেন শুভেন্দু অধিকারী । গ্রামীণ হাসপাতালের বাইরে অ্যাম্বুল্যান্সে কুকুরের শুশ্রুষার ভিডিও শেয়ার করে, মানুষের ব্যবহারের অ্যাম্বুল্যান্স ও হাসপাতাল কুকুরের চিকিৎসায় ব্যবহার করা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।

এ ব্যাপারে নবকুমারের প্রতিক্রিয়া মেলেনি। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব সূত্রের খবর, ঘটনাটি যখন ঘটে তখন নবকুমার ও সোমাশ্রী বাড়িতে ছিলেন না। তাঁরা জেলা পরিষদে ছিলেন। বাড়িতে তাঁদের নাবালিকা মেয়ে একাই ছিল। কুকুরটি বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিল। সে দিন আরও অসুস্থ হয়ে পড়ে। মেয়েটি বাড়ির কাছে এক প্রাইভেট অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা দেওয়া সংস্থার থেকে অ্যাম্বুল্যান্স ডেকে কুকুরটিকে গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তবে সেখানে কুকুরটির চিকিৎসা হয়নি বলেই দাবি। তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, “কুকুর একটা জটিল বিষয়। পাণ্ডবদের শেষ যাত্রায় কুকুর গিয়েছিল। কুকুরের নানা রূপ আছে। যারা কুকুর ভালোবাসে। দেখে মনে হচ্ছে অ্যাম্বুলেন্সে নিয়ে গেছে। কিন্তু রোগী বঞ্চিত করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে কিনা সেটা আগে দেখা হোক।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *