হাওড়া ডিভিশনের ১০০ বছর উদযাপন, গীতাঞ্জলি মিউজিয়াম কে ঐতিহ্যের সন্মাননা প্রদান করা হল বিশেষ মর্যাদার সঙ্গে

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : হাওড়া ডিভিশন, ভারতীয় রেলওয়ের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ, ১০০ বছরের যাত্রা পেরিয়ে আজ এক ঐতিহ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। ১৯২৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এই ডিভিশন শুধুমাত্র পরিবহণ ক্ষেত্রেই নয়, পশ্চিমবঙ্গ এবং পূর্ব ভারতের অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এরই মধ্যে গীতাঞ্জলি মিউজিয়াম, বোলপুরে প্রতিষ্ঠিত একটি প্রতীকী স্থান, যা কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদানকে সম্মানিত করছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫০ তম জন্মবর্ষে ভারতের রেল মন্ত্রক এই মিউজিয়াম প্রতিষ্ঠা করে। গীতাঞ্জলি নামকরণ করা হয়েছে, ঠাকুরের নোবেলজয়ী কাব্যগ্রন্থের নামে, যা ২০১০ সালে শতবর্ষ পূর্ণ করে মিউজিয়ামটির স্থাপত্য শান্তিনিকেতনের উত্তরায়ণ কমপ্লেক্সের ‘উদয়ন’ ভবন দ্বারা অনুপ্রাণিত, যা বোলপুরের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সঙ্গে মিলেমিশে যায়।

গীতাঞ্জলি মিউজিয়ামের একটি বিশেষ আকর্ষণ হল সেই রেলগাড়ি, যার মাধ্যমে রবীন্দ্রনাথ কলকাতা যাওয়ার পথে ১৯৪১ সালের ২৫ অগস্ট তাঁর শেষ যাত্রা করেছিলেন। এই যাত্রাটি মিউজিয়ামের নিচ তলায় প্রদর্শিত, যা দর্শকদের জন্য একটি গভীর আবেগপ্রবণ অভিজ্ঞতা তৈরি করে। এছাড়াও, মিউজিয়ামটি রবি ঠাকুরের সাহিত্যিক ও দার্শনিক অবদানগুলির একটি বিশাল সংগ্রহস্থল হিসেবে কাজ করে। এখানে তাঁর চিঠিপত্র, অমূল্য ছবি, এবং পারিবারিক স্মৃতিচিহ্ন সংগ্রহ করা হয়েছে, যা গবেষকদের জন্য অত্যন্ত মূল্যবান। এই উদযাপনটি প্রমাণ করে যে ভারতীয় রেলওয়ে শুধু অর্থনৈতিক উন্নতি নয়, সাংস্কৃতিক ও বৌদ্ধিক ঐতিহ্যেও অবদান রাখছে।

হাওড়া ডিভিশনের শতবর্ষ পূর্তি উপলক্ষে ২০২৫ সালে পূর্ব রেল একাধিক ঐতিহ্যচিহ্নকে বিশেষ মর্যাদা দিচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে ‘হেরিটেজ ট্যাগ’ পেল হাওড়া স্টেশনের বিখ্যাত এএইচ হুইলার বুকস্টল। ১৮৭৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও, ১৯০৫ সাল থেকে এই বুকস্টল স্থায়ীভাবে হাওড়া স্টেশনে তার যাত্রা শুরু করে। বহু প্রজন্মের যাত্রীদের কাছে এটি শুধুই বই কেনার জায়গা নয়, বরং একটি স্মৃতি, একটি সংস্কৃতি, একটি বিরামস্থল এই হুইলার বুকস্টল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *