১ লক্ষ ভুয়ো কোভিড টেস্ট কুম্ভমেলায়! সামনে এল এক ভয়ঙ্কর দুর্নীতি
বেস্ট কলকাতা নিউজ : কোভিড বিধি না মানা, ভুয়ো টেস্ট, এমন একাধিক বেনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল ‘কম্ভমেলা’কে ঘিরে। এবার এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল তার তদন্ত শুরু হতেই । তদন্তে জানা গিয়েছে, একটি বেসরকারি ল্যাব ছিল পরীক্ষার দায়িত্বে। সেই ল্যাব একাধিক দুর্নীতি করে নিজেদের টার্গেট পূরণের জন্য। যার মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর অভিযোগ হল, এক লক্ষ ভুয়ো কোভিড (Covid 19) টেস্ট রিপোর্ট দেয় বেসরকারি এই সংস্থাটি। উল্লেখ্য, মূলত উত্তরাখণ্ড সরকারই এই সংস্থাকে দায়িত্ব দিয়েছিল করোনা টেস্টিং-এর ।
তদন্তের সঙ্গে যুক্ত এক আধিকারিক সূত্রে খবর, ওই সংস্থাটি ৫০ জনের থেকে বেশি নাম নথিভু্ক্ত করিয়েছে একই মোবাইল নম্বর দিয়ে। এমনকি সংস্থাটি নাকি ৭০০ জনের করোনার পরীক্ষা করেছে একটি কিট দিয়েই। দুর্নীতি এখানেই কেবল শেষ নয়। আরও জানা গিয়েছে, সম্পূর্ণ ভুয়ো নথিভুক্ত হওয়া বেশিরভাগ মানুষের নাম এবং ঠিকানা। এমনকি হরিদ্বারের ‘হাউস নম্বর ৫’ থেকে নেওয়া হয়েছে কেবল মাত্র ৫৩০ জনের নমুনা। এটা কি সম্ভব যে, একটা বাড়িতে একসঙ্গে বাস করতে পারে ৫০০ জনেরও বেশি মানুষ?
সবচেয়ে বড় অভিযোগটি হল , দায়িত্বপ্রাপ্ত ওই বেসরকারি সংস্থাটি নাকি অন্তত ১ লক্ষ ভুয়ো করোনা রিপোর্ট পেশ করেছে কুম্ভমেলায়। যাদের নামে রিপোর্ট হয়ত তারা কুম্ভমেলাতে অংশগ্রহণই করেননি। অথচ ভুয়ো রিপোর্ট পেশ করা হয় তাদের নামেই।এখন প্রশ্ন হল এসব নমুনা যারা সংগ্রহ করেছিলেন আসলে তারা কে? সেখানেও নাকি ব্যাপক দুর্নীতি। জানা গিয়েছে, ২০০ জনের নাম পেশ করা হয় নমুনা সংগ্রহের জন্য। তবে স্বাস্থ্যকর্মীদের জায়গায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ডাটা এন্ট্রি অপারেটর এবং পড়ুয়ারা এই নমুনা সংগ্রহে কাজ করেছে।পড়ুয়াদের সংখ্যাটাই যার মধ্যে সবথেকে বেশি।
কুম্ভমেলাকে ঘিরে এমনিতেই বিতর্ক চলছিল কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে। তকমা পেয়েছিল এমনকি সুপার স্পেরডারের। এর মধ্যে উত্তরাখণ্ড সরকারকে বেশ ব্যাকফুটে ফেলে দিয়েছে এমন বড়সড় দুর্নীতির ঘটনা। প্রশ্ন উঠছে এমনকি তাদের ভূমিকা নিয়েও। তবে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে যে, খুব দ্রুতই আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে দুর্নীতির সঙ্গে যুক্তদের বিরুদ্ধে।