লক্ষী ভান্ডারই অসময়ের একমাত্র ভরসা! এই বিশেষ উপায় অবলম্বন করুন সংশয়ের সচ্ছলতা ফেরাতে
বেস্ট কলকাতা নিউজ : অর্থ লুকিয়ে সঞ্চয় করা মানুষের একটা আদিম অভ্যাস। প্রত্যেক মানুষেরই মধ্যে অর্থ সঞ্চয়ের তাগিদ লক্ষ্য করা যায় প্রাচীন যুগ থেকে বর্তমান যুগ পর্যন্ত। কিন্তু মাঝে মাঝে ঠিকঠাক মত হয়ে তা হয়ে ওঠেনা সংসারের যাঁতাকলে পরে। মাসের শেষ হতে না হতেই অর্থের টানাটানি দেখা দেয় মধ্যবিত্ত গৃহস্থ পরিবারগুলোতে। তবে আপনি চটজলদি পেতে পারেন এই সমস্যার সমাধান।তবে একটু বুদ্ধি এবং পরিকল্পনা চাই তার জন্য।
করোনা কালে অন্ধকারে প্রদীপের আলো : নিম্নবিত্ত থেকে উচ্চবিত্ত সংসার চালাতে প্রায় সবাই ব্যাপক হিমশিম খাচ্ছেন করোনার ভয়াল গ্রাসে। কারোর চাকরি গেছে তো আবার কারোর ব্যবসায় প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি। সমস্যায় ভুগছেন বিশেষ করে মধ্যবিত্ত মানুষরাই । কারণ আত্মমর্যাদার খাতিরে তাঁরা যেমন হাত পেতে ত্রাণ নিতে পারেন না আবার চাকরির বেহাল বাজারে প্রায় মুখ থুবড়ে পড়ছেন সংসারের রাশ টানতে গিয়ে।
তাই হিসাব করে একটু সঞ্চয় চাই এই দুর্মূল্যের বাজারে। যে সঞ্চয় হয়ে উঠবে অসময়ের প্রবল ভরসা। বর্তমানে সরকারি প্রকল্পের নাম ‘ লক্ষ্মীর ভান্ডার’ হলেও মধ্যযুগীয় সময় থেকে হয়ে আসছে লক্ষ্মীর ভাঁড়ে মানুষ অর্থ সঞ্চয়। লক্ষ্মীরর ভাঁড় বলে কিন্তু অবহেলা করবেন না। দুঃসময় এই লক্ষ্মীর ভাঁড়ই হয়ে উঠতে পারে অন্যতম অবলম্বন।
লক্ষ্মীর ভাঁড় সঞ্চয়ের সহজ পন্থা : যখন নীরব সরবরা দেশের টাকা নিয়ে পালিয়েছে, ব্যাংক পর্যন্ত রয়েছে চরম সংকটের মধ্যে।তখন ভরসা করা যেতেই পারে ছোট্ট একটি মাটির ভাঁড়ের উপর। টেলিভিশনে পর্যন্ত বিজ্ঞাপনে দেখা যায়, লক্ষ্মীর ভাঁড়ের সঞ্জয় দিয়ে কেউবা কিনছে মায়ের জন্য উপহার আবার কেউবা ছোট্ট সঞ্চয় দিয়ে সংসারের হাল ধরছেন। শুধু টিভিতে কেন এই রকম ঘটনা বহু রয়েছে বাস্তবেও। মিডিয়ার আলোয় অনেকবার দেখা যায়, তাঁদের ছোট্ট লক্ষ্মীর ভান্ডারের সঞ্চয় দিয়ে মহত্ কাজ করছেন অনেক ব্যক্তি বা শিশুরা। তাহলে আপনি কিভাবে সঞ্চয় করবেন?
• নোট বন্দির ঘটনার পর বাজারে খুচরোর চাহিদা তলানিতে ব্যবসায়ীরা খুচরো নিতে অনীহা প্রকাশ করায়। তাই লক্ষ্মীর ভান্ডারে এক টাকা, দু টাকা বা পাঁচ টাকার কয়েন রাখলে চলবে না। বেশি না পারেন প্রতিদিন ভাঁড়ে ফেলুন অন্তত একটা করে দশ টাকার কয়েন।
• বর্তমান দিনে মাছ-মাংসের দাম আকাশছোঁয়া হলেও এই অসময়ে কিন্তু মাত্র একশ টাকাতেই ভালোভাবে হয়ে যায় সবজির বাজার। ভেবে দেখেছেন আপনি যদি প্রতিদিন দশ টাকার কয়েন ফেলেন তাহলে মাসের শেষে তিনদিনের ন্যূনতম খরচ সঞ্চয় হবে আপনার ঘরেতেই।
• বিশেষ করে যারা ব্যবসায়ী, তাঁদের কোন হিসাব থাকে না খুচরো পয়সার। যাকে বলা হয় কাঁচা পয়সা। চেষ্টা করুন খুচরো পয়সা গুলিকে আলাদা করে সঞ্চয় করতে।
• নির্ধারণ করুন সপ্তাহের সাত দিনের বাজারের একটা দৈনিক হিসাব। বাজার খরচ করতে চেষ্টা করুন সেই হিসাব মতই ।
• পরিস্থিতি ঠিক যেমন তাকে গ্রহণ করতে হবে সেভাবেই। কাতলা মাছের পেটি বা মাংস নাই বা খেলেন। ওই টাকা দিয়ে মেটাতে পারবেন সংসারে অন্যান্য টুকিটাকি জিনিসের চাহিদাগুলিও।
• শুধু কয়েন নয় আপনি ইচ্ছা করলে প্রতিদিন আপনার রোজকার আয় থেকে লক্ষীর ভান্ডারে জমাতে পারেন দশ থেকে কুড়ি টাকার নোট। মাসের শেষে তাহলে আর হিমশিম খেতে হবে না ইলেকট্রিক বিল আর গ্যাসের দাম দিতে গিয়ে।
লক্ষ্মীর ভান্ডার দেবী লক্ষ্মীর আশীর্বাদ :হিন্দু সংস্কৃতি মতে, মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ রয়েছে লক্ষ্মীর ভান্ডারে। আমাদের সংসারে প্রতিপত্তি ও শ্রীবৃদ্ধি হয় মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদেই। প্রতিবছর তাই কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো এবং বিজয়া দশমীর দিন মায়েরা ঘরে আনেন নতুন লক্ষ্মীর ভাঁড়। পরের বছর পুজোর আয়োজন করা হয় সেই ভাঁড়ের সঞ্চিত টাকা দিয়েই।