রাজ্যপাল টুইট করে ফের সরব হল শিল্প সম্মেলনে বিনিয়োগ নিয়ে ,পাল্টা খোঁচা মহুয়া মৈত্রেরও
বেস্ট কলকাতা নিউজ : ঠিক একবছর আগে রাজ্যপাল ধনকড় রাজ্যের রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিটে বিনিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলে৷ তিনি সেই প্রশ্নই ফের তুলে দিলেন আরও একবার৷ রাজ্যপালের আরও অভিযোগ,রাজ্য সরকার দাবি করেছে শিল্প সম্মেলন থেকে ১২ লাখ কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ এসেছে বলেও৷ কিন্তু বাস্তবের কোনও মিল নেই তার সঙ্গে৷ এমনকি, তাঁর এও অভিযোগ, একবছর আগে রাজ্যের কাছে এই নিয়ে জবাব চাইলে, তার উত্তর মেলেনি আজও৷ এই বিষয়ে রাজ্যপাল শ্বেতপত্র দাবি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছেও ৷ এরপরই তৃণমূলের সাংসদ মহুয়া মৈত্র পাল্টা টুইট করে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন রাজ্যপালকে৷
প্রসঙ্গত,রাজ্য সরকার প্রতি বছরই আয়োজন করে বেঙ্গল গ্লোবাল বিজ়নেস সামিটের৷ কিন্তু আদৌ কি কোনও লাভ হয়েছে জাঁকজমক করে সেই শিল্প সম্মেলন করে ? রাজ্যে বাস্তবে কি লগ্নি এসেছে ? এই নিয়ে বিরোধীরা একাধিকবার প্রশ্ন তুলেছে। প্রশ্ন তোলেন এমনকি রাজ্যপালও৷ একবছর আগে তিনি এই নিয়ে টুইটও করেন৷ অর্থসচিবের কাছে জানতে চেয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে শুরু হওয়া বেঙ্গল গ্লোবাল বিজ়নেস সামিট(শিল্প সম্মেলন)-এর বিস্তারিত। মনে করা হচ্ছিল যে পরিমাণ লগ্নি এসেছে, সম্মেলন আয়োজনে তার থেকে খরচ বেশি হয়েছে বলেও৷ কিন্তু, অভিযোগ একবছর পার হয়ে গেলেও রাজ্যসরকারের তরফে তার উত্তর তিনি পাননি বলেও৷
এই নিয়ে রাজ্যপাল বৃহস্পতিবার একটি টুইটও করেন৷ লেখেন, ” ২০২০ সালের ২৫ অগস্ট বেঙ্গল গ্লোবাল বিজ়নেস সামিটের পঞ্চম সংস্করণে ১২ লাখ কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগের বিষয়ে হিসেব চেয়েছিলাম রাজ্য সরকারের কাছে৷ কিন্তু, তার কোনও উত্তর পাইনি একবছর হয়ে গেলেও ৷ স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা থাকা দরকার শিল্পায়নের পরিবেশে৷ পশ্চিমবঙ্গের শিল্প আগের মতোই ফ্যাকাশে ৷” সরকারের কাছ থেকে তিনি কী কী তথ্য চেয়েছিলেন তাও টুইটের সঙ্গে উল্লেখ করেছেন ৷
এরপরেই মহুয়া মৈত্র ধনকড়কে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন৷এর আগেও মহুয়া মৈত্র টুইটে উত্তর দিয়েছেন ধনকড়ের একাধিক মন্তব্যের৷ আঙ্কেলজি… বলে একপ্রকার কটাক্ষ করেছেন ৷ আজও সাংসদ মহুয়া মিত্র রাজ্যপালকে কটাক্ষ করলেন সেই সুরে৷ তিনি এও লেখেন, “রান্নার গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি কোনও প্রভাব ফেলেনি কলকাতার রাজভবনে৷ আঙ্কেলজি…অপমান করা বন্ধ করুন পশ্চিমবঙ্গকে৷ আপনার গুরুজিকে জিজ্ঞেস করুন ২০১৫ ও ২০১৭ সালে গুজরাতের জন্য আয়োজনে দেড়শো কোটি টাকার কথা৷