মানসিক ক্ষতি ক্রমশ বাড়ছে ফিল গুড হরমোনে! জেনে রাখুন স্মার্টফোন ব্যবহার করলে
বেস্ট কলকাতা নিউজ : আজকের দিনে নতুন কিছু নয় ফেসবুকে মাইলের পর মাইল স্ক্রল করে ভিডিও, ওয়েব-সিরিজ, সিনেমার দেখার অভ্যাস। আজকাল বাড়ি ছোট থেকে বড়রা প্রায় সকলেই আক্রান্ত এই অভ্যাসে। এমনকি কেউ কারোর সাথে কথা বলেনা এক ঘরে পরিবারের সবাই থাকা সত্ত্বেও। সবাই একরকম ব্যস্ত স্মার্টফোনে। আসলে অনেক বড় কিছু সুযোগ হাতছাড়া হয়ে গেছে মনে হয় সোশ্যাল দুনিয়ায় কিছু একটা মিস হলেই। এমনকি এই নেশা ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণ পেতে শুরু করে আপনার ধৈর্য, ইচ্ছাশক্তি সবকিছুতেই। ক্রমেই সোশ্যাল দুনিয়ায় আপনি এতটাই মগ্ন হয়ে ওঠেন যে আপনার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বা অপ্রত্যাশিত কিছু ঘটলেই আপনি প্রকাশ করতে পারেননা সেটা মেনে নেওয়ার মতো ক্ষমতা।
কিন্তু জানেন কী আপনার স্মার্টফোন বা কোনো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এই নেশার জন্য দায়ি নয়। দায়ি একমাত্র আপনি নিজেই। জানা গেছে ফিল গুড বা ডোপামিন নামক একটি হরমোন নিঃসরণ হয় মানুষের মস্তিস্ক থেকে। যা সাহায্য করে মানুষের শরীরে আনন্দ বা খুশিভাব উত্পন্ন করতেও। এই হরমোনই আপনাকে এগিয়ে নিয়ে যায় অজানা কিছু পাওয়ার আশায়। যেটা খুশি এবং আনন্দ প্রদান করে আপনাকে। এই ডোপামিন হরমোন ক্ষরিত হতে পারে এমনকি গেম খেলার সময়, কোনো ওয়েব-সিরিজ দেখার সময় কিংবা ফেসবুক ঘাঁটার সময়ও। এটি এমন একটি অনুভূতি তৈরি করে যেখানে আপনি কোনো ভাবেই চান না সেই গেম বা ওয়েব-সিরিজ মাঝপথে ফেলে আসতে। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, আপনার মানসিক অবসাদ, দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায় অতিরিক্ত আনন্দভাব পাওয়ার আশায় ডোপামিন ক্ষরণ বেশি হলে। প্রায় মুশকিল যা থেকে বেরোনো।
তবে ডোপামিন হরমোন নিয়ন্ত্রণ করার উপায় রয়েছে-
মানুষের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ডোপামিন হরমোন। তবে একটি তালিকা তৈরি করার প্রয়োজন এটি নিয়ন্ত্রণ করার জন্যও। সেইসমস্ত বস্তু, খাবার, বা অ্যাক্টিভিটি যোগ করুন আপনি খুবই পছন্দ করেন যেগুলি করতে।এবার কিছু সময়ের জন্য বিরত থাকুন সেগুলি করা থেকে। ডিজিটাল দুনিয়ার মায়া কাটার সাথে সাথে আপনার ধৈর্য বাড়বে, ইচ্ছাশক্তির ওপর নিয়ন্ত্রণ পাবেন এবং সামগ্রিক ভাবে যা প্রমাণিত হবে আপনার স্বাস্থ্যের জন্য অনেক বেশি উপকারী হিসাবে।