এ বছর স্থান পরিবর্তন হতে পারে মহম্মদ আলি পার্কের পুজোর
বেস্ট কলকাতা নিউজ : মহম্মদ আলি পার্কের পুজো রাজ্যবাসীর কাছে অন্যতম প্রধান দ্রষ্টব্য। ওই পার্কে একটি ভূগর্ভস্থ বড় জলাধার রয়েছে তা অনেকের কাছেই অজানা । ব্রিটিশ আমলের ওই জলাধার তৈরি হয়েছিল ইটের কাঠামো দিয়ে। সেই কাঠামো অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়েছে কালের নিয়মে। মাসখানেক আগে জলাধারের চারপাশে থাকা ইটের পাঁচিলের কিছুটা অংশ ভেঙে যায় আচমকাই । জল বেরিয়ে এক রকম ভাসিয়ে দেয় মহম্মদ আলি পার্ক চত্বর। যা ছড়িয়ে পড়ে সংলগ্ন চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউয়ে। পুরসভার পার্ক ও উদ্যান দফতরের মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার জানান, তার পরেই পার্ক এবং জল সরবরাহ দফতরের ইঞ্জিনিয়ারেরা গিয়ে অবস্থা সামাল দেন। পরে সমীক্ষা করানো হয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের দিয়ে । ওই জলাধারের ইট নিয়ে গিয়ে পরীক্ষা করেন তাঁরা । পরে বিশেষজ্ঞেরা পুর প্রশাসনকে জানান, জলাধারের ইটের কাঠামো খুবই দুর্বল হয়ে পড়েছে। তা নতুন করে তৈরি করতে হবে অবিলম্বেই । আর সেই সময়ের মধ্যে কোনও রকম চাপ দেওয়া চলবে না পার্কের উপরে। তা হলে, ভেঙে পড়তে পারে জলাধারের বাকি অংশও।
যাদবপুরের ওই সতর্কবার্তা পেয়ে গুরুতর সমস্যায় পড়ে পুর প্রশাসন। এর পরেই পার্ক পরিদর্শনের সিদ্ধান্ত নেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। সম্প্রতি মেয়র এবং দেবাশিসবাবু মহম্মদ আলি পার্কে গিয়ে পুজো কমিটির সদস্যদের সঙ্গে এক বৈঠক করেন। সেখানেই মেয়র তাঁদের জানান, পার্কের যা অবস্থা তাতে সেখানে এ বার পুজো করা খুব বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়াবে । এদিকে যাদবপুরের বিশেষজ্ঞেরাও বলেছেন, জলাধার সংস্কার না করে পার্কের উপরে কোনো রকমের চাপ দেওয়া চলবে না। বৃহস্পতিবার ফিরহাদ জানান, মহম্মদ আলি পার্কের পুজো দেখতে কয়েক লক্ষ মানুষ আসেন সারা রাজ্য থেকে। তাই পুজো কমিটির কর্তাদের অনুরোধ করা হয়েছিল, এ বারের মতো পুজোর জায়গা পরিবর্তন করলে ভাল হয়। তিনি আরও বলেন , জলাধারের কাঠামো নতুন তৈরি করতে কয়েক মাস সময় লাগবে। কিন্তু আর দু’মাস পরেই পুজো। তাই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে জায়গা বদল এর।