বিচারে জেল হলে হবে! নির্লিপ্ত সুশান্ত চৌধুরী এমনটাই জানালো বাবার পাঠানো উকিলকে ফেরত পাঠিয়ে দিয়ে
বেস্ট কলকাতা নিউজ :সুতপা চৌধুরী খুন কাণ্ডে বিচারে জেল হলে হবে, নির্লিপ্ত সুশান্ত চৌধুরী এমনটাই বলল বাবার পাঠানো উকিলকে ফেরত পাঠিয়ে ! সুশান্তর বাবা নীহার চৌধুরী বহরমপুর বার অ্যাসোসিয়েশনের আইনজীবী জয়দেব মণ্ডলের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন সুশান্তর হয়ে মামলা লড়ার জন্য।
জয়দেব বলেন, “সুশান্তর বাবা নীহারবাবু শিলিগুড়িতে থাকেন কর্মসূত্রে। এ দিকের কিছু চেনেন না বলে আমাকে জানান অনুরোধও করেন ওর ছেলের হয়ে মামলা লড়তে। আমি আদালতে গিয়েছিলাম সেই মতো প্রস্তুতি নিয়ে। ওকালতনামায় সাক্ষরের জন্য আদালতে উপস্থিত ছিলেন না সুশান্তর বাড়ির লোক কেউ। কোর্ট লকআপে সুশান্তর সঙ্গে যোগাযোগ করি জুনিয়র আইনজীবীর মাধ্যমে। সেই সময়ই সে তা প্রত্যাখ্যান করে। পরে বোঝানোর পর নিমরাজি হয়ে সুশান্ত ওকালতনামায় সাক্ষর করে।”
জয়দেব এও বলেন, “নিমরাজির কারণ জানতে আমি নিজে কথা বলি সুশান্তর সঙ্গে। তখনই সে স্পষ্ট জানিয়ে দেয় আমি চাই না কেউ মামলা লড়ুক আমার হয়ে। বিচারে জেল হলে হবে। পরে কথা বলবো প্রয়োজন হলে। বাড়ি থেকে বাবা মা যেন এখানে না আসে। আমি পরে আপনার মাধ্যমে যোগাযোগ করে নেব তাঁদের সঙ্গে।”
দশ দিন পুলিশ হেফাজত শেষে বৃহস্পতিবার সুশান্তকে তোলা হয়েছিল মুখ্য বিচারবিভাগীয় আদালতে। সরকারি আইনজীবী বিশ্বপতি সরকার জানান সেখানে তদন্তের স্বার্থে আরও চার দিন তাকে পুলিশি হেফাজতের আবেদন করা হলে বিচারক অপর্ণা চৌধুরী দু’দিনের পুলিশ হেফাজত মঞ্জুর করেন বলে।উল্লেখ্য, চলতি মাসের দু’তারিখ ভর সন্ধ্যায় বহরমপুর গার্লস কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী মালদহের সুতপা চৌধুরীকে গোরাবাজার শহিদ সূর্য সেন রোডের পুরনো কাত্যায়নীর গলিতে নৃশংস ভাবে খুন করে মালদহেরই বাসিন্দা সুশান্ত।