রাতের ঘুম উড়েছে ক্রমশ হাতির তাণ্ডবে , শুধুই আশ্বাস মিলছে সরকারি সাহায্যের পরিবর্তে
বেস্ট কলকাতা নিউজ : একেবারেই নতুন বিষয় নয় বাঁকুড়ার জঙ্গল লাগোয়া গ্রামের বাসিন্দাদের কাছে বুনো হাতির হামলার মতো ঘটনা । কারণ তাদের এই একটি সমস্যাকে বয়ে নিয়ে চলতে হচ্ছে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে । গ্রামের বাসিন্দাদের আতঙ্কগ্রস্থ করছে রাত-বিরেতে বুনো হাতির তাণ্ডব। সারা বছর ধরে কষ্ট করে পুঁজি জুড়ে যেটুকু চাষবাস তাঁরা করতে পারছেন মুহূর্তের মধ্যেই সবকিছু এসে ধূলিসাৎ করে দিচ্ছে বুনো হাতির দল। এই ঘটনায় গ্রামবাসীরা একরকম রীতিমতো হতাশ। এদিকে হাতির হামলায় দুই ব্যক্তি আহত হন বাঁকুড়া জেলার সোনামুখীর ধানসিমলা পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ইন্দকাটার জঙ্গলে হাতির দলকে তাড়ানোর সময় ।
জানা যায়, তাঁরা গুরুতর জখম হলে তাদেরকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় সোনামুখী প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। কিন্তু তড়িঘড়ি বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করে দেওয়া হয় শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় । বর্তমানে যদিও তাদের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল কিন্তু কোনভাবেই মিটছে না এই সমস্যা। গ্রামবাসীদের কথায়, বাঁকুড়া জেলা জুড়ে এই মুহূর্তে সোনামুখী, বড়জোড়া, বেলিয়াতোড় সহ আরও অন্যান্য জঙ্গল সংলগ্ন গ্রাম গুলিতে প্রায় ৮৮ টি বুনো হাতির দল দাপিয়ে বেড়াচ্ছে । গ্রামবাসীদের আরো দাবি হাতির হামলায় বহু মানুষ বেঘোরে প্রাণ হারাচ্ছেন ।
যতবার হাতির হামলা হচ্ছে বনদফতরকে খবর দেওয়া হচ্ছে। তাঁরাও আসছেন কিন্তু যেটুকু সময় তাঁরা থাকছেন রক্ষা সেটুকু সময়। বনদফতরকেও হাতি তাড়াতে রীতিমত বেগ পেতে হচ্ছে। তবে আগের ঘটনারই পুনরাবৃত্তি ঘটছে বনদফতরের কর্মীরা ফের গ্রাম থেকে চলে যাওয়ার পরে। যতক্ষণে বনদফতরের কর্মীরা খবর পাওয়ার পর গ্রামে এসে পৌঁছাচ্ছেন ততক্ষণে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ফসল থেকে শুরু করে কাঁচা বাড়ি ঘর। গ্রামবাসীদের আরো অভিযোগ, ক্ষতিপূরণ মিলবে এমন আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বনদফতরের তরফ থেকে সেই ক্ষতিপূরণ আদায় করতে গিয়ে তাদের রীতিমতো কাঠখড় পোড়াতে হচ্ছে।