গোবিন্দ রায় জিউ এক জাগ্রত দেবতা, খোদ ভক্তরাই যাঁর অলৌকিক অজস্র ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী
বেস্ট কলকাতা নিউজ : দক্ষিণ গোবিন্দপুর গ্রামে গোবিন্দ রায় জিউ বনদেবতা হিসেবে পূজিত হন পূর্ব মেদিনীপুরের মুগবেড়িয়ার কাছে। খেড়িয়া থেকে ইটাবেড়িয়া গ্রামীণ সড়কে মাধাখালি ব্রিজ পেরিয়ে কিছুদূর গেলেই ব্যাংক মোড়। এই মোড়ের ডান দিকে স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া। আর বাঁ-দিকে মুগবেড়িয়া সেন্ট্রাল কোঅপারেটিভ ব্যাংক। যার মধ্যে দিয়ে গিয়েছে একটি রাস্তা। সেই রাস্তা ধরে তিন কিলোমিটার গেলেই গোবিন্দ রায় জিউয়ের মন্দির।
স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে এই মন্দির পরিচিত গোবিন্দ রায় স্থান বা থান নামেও । বহু বছর আগে এই এলাকা ছিল মূলত বাঘ এবং সাপেদের অবাধ বিচরণভূমি। স্থানীয় বাসিন্দাদের আরও বিশ্বাস, এই বাঘ ও সাপ আসলে গোবিন্দ রায় জিউয়েরই বাহন। তার মধ্যে ভক্তদের জন্যই তিনি বাঘকে পাশেই খালের ওপারে ছেড়ে দিয়ে এসেছেন। কিন্তু, সাপ এখনও রয়েছে। পূর্ণিমার রাতে গোবিন্দ রায় জিউয়ের কাছে সেই সাপ আসে। ভক্তরা এই দেবতাকে মনে করেন কৃষ্ণেরই এক রূপ এবং বনদেবতা বা বিপত্তারণ দেবতা বলে।
ভক্তদের বিশ্বাস, মনস্কামনা পূরণ হবেই হবে এই দেবতার কাছে পায়েস মানত করলে। নানা কাহিনি রয়েছে অতি জাগ্রত এই দেবতা সম্পর্কে ও । সেসব কাহিনি বা ঘটনা প্রত্যক্ষও করেছেন বাসিন্দারা। ভক্তদের এও দাবি, চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেছেন, এমন একটি শিশুও নাকি জ্ঞান ফিরে পেয়েছে এই মন্দিরে দেবতার চরণামৃত মুখে দেওয়ার পর। শুধু তাই নয়, এই মন্দিরে যেসব ভক্তরা মানত করতে আসেন, আজ পর্যন্ত নাকি তাঁদের কেউ পায়েস ছাড়া আসেননি।
ভক্তদের আরও দাবি, মাঝে মধ্যে এই গোবিন্দ রায় জিউকে নাকি খুঁজে পাওয়া যায় না। আবার, কীভাবে যেন তিনি নিজের জায়গায় ফিরে আসেন। এই দেবতা খোলা জায়গায় থাকতে পছন্দ করেন। রাতে বিরক্ত একেবারেই পছন্দ করেন না। সেই কারণে গ্রামবাসীরা এই মন্দিরে রাতে আসেন না। আশপাশের দোকানপাটও রাতে বন্ধ রাখা হয়। এমনকী, পাশের খেতের জমিতেও নাকি মেশিন ব্যবহার করা হয় না। পাছে দেবতা অসন্তুষ্ট হন।