গুলিতে ওফোঁড়-ওফোঁড় মাথার খুলি, ভয়ঙ্কর অবস্থায় স্বামীকে দেখলেন ছেলেকে স্কুলে দিয়ে বাড়ি ফিরতেই
বেস্ট কলকাতা নিউজ : সন্তানকে স্কুল ছাড়তে নিয়ে গিয়েছিলেন মা। বাড়ি ফিরে আঁতকে উঠলেন তিনি। ঘরময় মেঝেতে পড়ে রয়েছে রক্ত। এগিয়ে গিয়ে দেখলেন স্বামী আর নেই। পিস্তল নিয়ে আত্মহত্যা করছেন। হাওড়ার চ্যাটার্জীহাটের এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।পুলিশ সূত্রে খবর,মৃতের নাম বিপ্লব পাঁজা। পরিবারের দাবি সাংসারিক অনটনের কারণে আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি। বিপ্লববাবুর বাড়ি চ্যাটার্জীহাট থানার অন্তর্গত এসএন গাঙ্গুলী রোডে। শনিবার তাঁর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ইতিমধ্যে তাঁর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
পরিবারের দাবি, বিপ্লববাবু যন্ত্রাংশের ব্যবসা করতেন। নিজেদের পারিবারিক কারখানাও ছিল। বছর বারো আগে কদমতলায় পৈতৃক ব্যবসা ও বাড়ি ছেড়ে তিনি স্ত্রীকে নিয়ে চ্যাটার্জীহাট থানার এসএন গাঙ্গুলী রোডের একটি বাড়িতে থাকতে শুরু করেন।সম্প্রতি তাঁর ব্যবসা ভাল চলছিল না। বাজারে অনেক টাকার ঋণ হয়ে যায়। আর সেই বিষয়টি সহ্য করতে পারেননি তিনি। জানা গিয়েছে, শনিবার বিপ্লববাবুর স্ত্রী তাঁর সন্তানকে স্কুল ছাড়তে গিয়েছিলেন। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগকেই কাজে লাগান বিপ্লব। শোয়ার ঘরে পিস্তল থেকে গুলি করেন নিজের মাথায়। রীতিমতো এফোর-ওফোর হয়ে যায় সবটা। মাটিতে লুটিয়ে পড়েন রক্তাক্ত অবস্থায়।
ছেলেকে স্কুলে এসে স্ত্রী দেখেন স্বামীর ভয়ঙ্কর পরিণতি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে চ্যাটার্জীহাট থানার পুলিশ। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে পাঠায় হাওড়া জেলা হাসপাতালে। সেখানে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পুলিশ মর্গে পাঠানো হয়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান আর্থিক অনটনের জেরেই ওই ব্যবসায়ী আত্মঘাতী হয়েছেন। পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনাস্থল থেকে কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে রক্তাক্ত পিস্তল উদ্ধার করে।