মহিলা সংরক্ষণ বিল! এক-তৃতীয়াংশ সংরক্ষণ সবক্ষেত্রেই, সহজে জানুন জটিল বিষয়
বেস্ট কলকাতা নিউজ : নরেন্দ্র মোদী সরকার মঙ্গলবার ১২৮তম সংবিধান সংশোধনী বিল, ২০২৩ পেশ করেছে। যাতে লোকসভা এবং সমস্ত রাজ্য বিধানসভায় মহিলাদের জন্য ৩৩% আসন সংরক্ষণের কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে এসসি/এসটিদের জন্য আসনের এক-তৃতীয়াংশ এবং সাধারণ বিভাগে মোট আসনের এক-তৃতীয়াংশ ‘যতটা সম্ভব’ সংরক্ষিত থাকবে। বিলটি পাস হওয়ার পরে পরিচালিত প্রথম আদমশুমারির ভিত্তিতে আসনগুলো সংরক্ষিত হবে। এই আইনে শুরু থেকেই ১৫ বছরের জন্য মহিলাদের আসন সংরক্ষণকে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, সংসদকে এই সংরক্ষণ আরও বাড়ানোর ক্ষমতাও দেওয়া হয়েছে।
মহিলাদের জন্য সংরক্ষণ আসন পুনর্বিন্যাসের পরই কার্যকর হবে। এই আসন পুনর্বিন্যাস হবে মহিলা সংরক্ষণ বিল আইন হওয়ার পর প্রথম আদমশুমারি অনুযায়ী। বুধবার লোকসভায় বিলটি উপস্থাপন করে কেন্দ্রীয় আইন ও বিচারমন্ত্রী অর্জুনরাম মেঘওয়াল বলেছেন যে একবার পাশ হয়ে গেলে, লোকসভায় মহিলা সাংসদের সংখ্যা বর্তমান ৫৪৩ আসনের বিচারে হবে ১৮১। বর্তমানে সংসদে ৮২ জন মহিলা সাংসদ আছেন।
এই বিল ধারা ৩৩০এ-তে মহিলাদের জন্য আসন সংরক্ষিত করার বিষয়টি যুক্ত করতে চেয়েছে। শুধু তাই নয়, লোকসভায় তফসিলি জাতি এবং উপজাতিদের জন্য সংরক্ষিত আসনের এক-তৃতীয়াংশও মহিলাদের জন্য রাখার কথা বলেছে। আর, লোকসভায় সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে পূরণ করা মোট আসনের এক-তৃতীয়াংশ মহিলাদের জন্য আলাদা করে রাখার কথা বলেছে। বিলটি লোকসভার পাশাপাশি সব বিধানসভাতেও মহিলাদের সংরক্ষণ বাধ্যতামূলক করার জন্য ৩৩২এ ধারা সংশোধনের কথা বলেছে। আর, সংশোধনী অনুযায়ী এসসি/এসটি থেকে সাধারণ, সব ক্ষেত্রেই মহিলাদের জন্য ৩৩% আসন সংরক্ষণের কথা বলেছে।
বিলটি ধারা ২৩৯এএ-এর ২ ধারায় দিল্লি বিধানসভায় মহিলাদের জন্য আসন সংরক্ষণের কথা বলেছে। সব জায়গার মত দিল্লি বিধানসভাতেও তফশিলি জাতি-উপজাতিদের জন্য সংরক্ষিত আসনের এক-তৃতীয়াংশ মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত করার কথা বিলে বলা হয়েছে। বিলটি উত্থাপনের ঠিক আগে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন যে সরকার আইনসভায় মহিলাদের প্রতিনিধিত্ব বাড়ানোর জন্য সাংবিধানিক সংশোধনী বিলটি উত্থাপন করছে। এর নামকরণ করা হয়েছে, ‘নারী শক্তি বন্দন অধিনিয়ম’ (আক্ষরিক অর্থে, নারী শক্তির উপাসনা করার আইন)।