সুপার’,ওটি চালাতে চাইছেন ‘হাসপাতালের নিরাপত্তা রক্ষী দিয়ে, তুমুল বিক্ষোভ সিউড়ি হাসপাতালে
বেস্ট কলকাতা নিউজ : হাসপাতালের নিরাপত্তা রক্ষী দিয়ে অপারেশন থিয়েটারে কাজ করানোর চেষ্টার অভিযোগ। খোদ হাসপাতাল সুপারের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলে প্রতিবাদে সরব সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের নিরাপত্তা রক্ষীরা। তাঁদের বক্তব্য, সুপার ওটিতে তাঁদের কাজ করার জন্য জোর দিচ্ছেন। অভিযোগ, সেখানে চিকিৎসকের সহযোগী হিসাবে কাজ করার জন্য বলা হচ্ছে তাঁদের। নিরাপত্তারক্ষীরা প্রশ্ন তুলেছেন, পুঁথিগত বিদ্যা বা প্রশিক্ষণ কোনওটাই না থাকা সত্ত্বেও কীভাবে সুপার তাঁদের দিয়ে এমন কাজ করাতে চাইছেন? যদিও সুপারের দাবি, নিরাপত্তা রক্ষীদের ওটিতে কাজ করানোর কথা তিনি বলেননি। বলেছেন, যাঁরা ওয়ার্ড বয়, তাঁরা ওটিতে কাজ করবেন। আর ওয়ার্ড বয়দের জায়গায় কাজ করবেন নিরাপত্তা রক্ষীরা।
সোমবার সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায়। হাসপাতাল চত্বরেই বসে প্রতিবাদ জানাতে থাকেন নিরাপত্তারক্ষীরা। তাঁরা অভিযোগ তোলেন, সুপারের বক্তব্যে সম্মত না হওয়ায় তাঁদের সুপারভাইজারকে হেনস্থা করা হয়েছে। নিরাপত্তারক্ষীদের দাবি, অপারেশন থিয়েটারে চিকিৎসকের সহযোগিতায় ৫ জন সহযোগীর দরকার।
নিরাপত্তারক্ষী কার্তিক দাসের দাবি, “ওটিতে পাঁচজন নিরাপত্তার লোক লাগবে বলেছিলেন সুপার। আমাদের সুপারভাইজার নামও দেন। পরে আমরা জানতে পারি ওটা নিরাপত্তার কাজের জন্য নয়, ওটিতে ডাক্তারদের হেল্পার হিসাবে কাজের জন্য। আমরা এর আপত্তি জানাই। আমাদের কোনও প্রশিক্ষণ নেই, যন্ত্রপাতির নাম জানি না। কোনও ভুল করেও তো বসতে পারি। হয়ত ডাক্তার এক জিনিস চাইলেন, আমরা আরেক জিনিস এগিয়ে দিলাম। এভাবে হয় নাকি?”
সুপার ভাইজার তরুণ গড়াই বলেন, “সুপার এক সপ্তাহ ধরে বলছেন সিকিউরিটির ছেলে লাগবে। সিকিউরিটি দিয়ে ওটি চালাবেন। ওনাকে বারবার বলেছি, সিকিউরিটির লোকজন ওটি চালাতে পারবেন না। উনি হুমকি দিচ্ছেন। আমাদের সংস্থাকে জানালাম বিষয়টা। উনি বলছেন সিকিউরিটির লোক দিয়ে ওয়ার্ড বয়ের কাজ করাবেন। এটা সম্ভব কখনও? আমাদের সংস্থাও না করে দিয়েছে।”
যদিও হাসপাতাল সুপার নীলাঞ্জন মণ্ডলের বক্তব্য, তিনি হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টা ওটি চালু রাখার একটা নির্দেশিকা বার করেছেন। ২৪ ঘণ্টা ওটি চালাতে গেলে লোক লাগবে, ওয়ার্ড বয় লাগবে। সেটা নিয়েই নতুন করে টিম সাজানোর পরিকল্পনা চলছিল। নীলাঞ্জন মণ্ডল বলেন, “এরা সব আমাদেরই ছেলে, হাসপাতালেরই ছেলে। কাজকর্ম করে। কেউ সিকিউরিটিতে কাজ করে, কেউ ওয়ার্ড বয়ের কাজ করে। আমাদের সঙ্গে ভাল সম্পর্কও ওদের। একটা ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হয়। আমিও ওদের বোঝানো চেষ্টা করি, সিউড়িতে এরকম একটা পরিষেবা চালু করছি। এদেরই তো কারও ভাই, বন্ধু, আত্মীয়রও ওটি হতে পারে। সেখানে এলাকার মানুষের সুবিধা হবে, এখানে যারা কাজ করছে তাদেরও সুবিধা হবে। পরে ভুল বোঝাবুঝি মিটে গিয়েছে।”