শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবে যেন প্রতিপদেই থিকথিকে ভিড়, যানজটে চরম নাকাল এমনকি শহরবাসী
বেস্ট কলকাতা নিউজ : ধর্ম যার-যার, উৎসব সবার। এ ছবি প্রতিবারই দুর্গাপুজোয় ধরা পড়ে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। পুজো হবে নির্ঘণ্ট মেনে। কিন্তু, উৎসবের আমেজ শুরু হয়ে গিয়েছে মহালয়ার আগে থেকেই। পুজো মণ্ডপগুলি উদ্বোধন হওয়ার শুরু থেকেই কৌতূহলী দর্শকদের ভিড় জমতে শুরু করেছে। যার মধ্যে অন্যতম হল, লেকটাউনের শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাব । শ্রীভূমির এবারের থিম, ডিজনিল্যান্ড। যা দেখতে ইতিমধ্যে লোকের ভিড় বাড়তে শুরু করেছে। আর এই ভিড়ের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে যান চলাচলেও। বলা ভাল, লেকটাউনে ব্রিজে ওঠার মুখ একেবারে থমকে গিয়েছে। তাই যাঁরা বিমানবন্দর যাবেন, তাঁদের অন্য পথে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে কলকাতা পুলিশ।
সবেমাত্র মহালয়া হয়েছে। মহালয়ার পরদিন, রবিবারই সন্ধ্যাতেই লেকটাউনের শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের পুজোয় দেখা গেল থিকথিকে ভিড়। এই ভিড় দেখে বোঝা মুশকিল, এটা প্রতিপদ নাকি ষষ্ঠীর সন্ধ্যা! মণ্ডপে উপচে পড়ছে ভিড়। আর তার প্রভাব পড়েছে যান চলাচলেও। লেকটাউন ব্রিজে ওঠার মুখে তীব্র যানজট। খুব ধীরে গাড়িগুলি এগোচ্ছে। বলা যায়, যে পথ যেতে ২০-৩০ মিনিট সময় লাগে, সেটা পৌঁছতে এদিন সময় লেগে যাচ্ছে ১ ঘণ্টা। যেন শয়ে-শয়ে গাড়ি দাঁড়িয়ে রয়েছে।
এদিকে, বাইপাস থেকে এয়ারপোর্ট যাওয়ার সহজতম রুট হল লেকটাউন ব্রিজ। কিন্তু, যেরকম যানজট হয়েছে, সেখানে এয়ারপোর্ট পৌঁছতে অনেকটা বেশি সময় লেগে যাবে। তাই এয়ারপোর্ট যেতে হলে চিংড়িঘাটা ফ্লাইওভার থেকে নিউ টাউনের রাস্তা ধরার পরামর্শ দিচ্ছে কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশ। যদিও সেক্ষেত্রে অনেকটা রাস্তা ঘুরতে হবে। কিন্তু, যানজট এড়াতে এবং সময়ের মধ্যে এয়ারপোর্ট পৌঁছতে আর কোনও উপায় দেখছে না পুলিশ।
কেবল লেকটাউন নয়, শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের মতোই ভিড় গিজগিজ করছে সন্তোষ মিত্র স্কোয়্যার, কলেজ স্কোয়্যার, মহম্মদ আলি পার্কের পুজো মণ্ডপ ও মহাত্মা গান্ধী রোড, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ-সহ সংলগ্ন রাস্তায়। সবেচেয় বেশি ভিড় সন্তোষ মিত্র স্কোয়্যারের সামনে। যদিও এখনও এই পুজো মণ্ডপের উদ্বোধন হয়নি। আগামী কাল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের হাতে এই পুজো মণ্ডপের উদ্বোধন হবে। স্বাভাবিকভাবেই গেটও বন্ধ রয়েছে। কিন্তু, গেটের বাইরেই উৎসুক জনতার ভিড় গিজগিজ করছে। বাইরে থেকেই প্যান্ডেল ও আলোর ঝলকানি দেখছে কৌতূহলী জনতা। ভিড় এড়াতেই উদ্বোধনের আগে তাঁরা অন্তত বাইরে থেকেই রাম মন্দিরটি দেখতে চাইছেন।
গতকাল, মহালয়ার দিনও ভিড় কিছু কম হয়নি। তবে এদিন ছুটির দিন হওয়ায় ভিড় যেন খানিক বেশি। মহালয়ার দিন থেকে এরকম ভিড় কয়েক বছর আগেও কলকাতা দেখেনি। অর্থাৎ পুজো শুরু হওয়ার আগেই যে উৎসবের আমেজ শুরু হয়ে গিয়েছে, তা এর থেকেই স্পষ্ট। তবে এদিনই রাস্তাঘাটে যেরকম ভিড় হয়েছে, যানজট হয়েছে, পুজোর দিনগুলিতে শহর কলকাতার কী অবস্থা হবে, তা ভেবে শঙ্কিত অফিসযাত্রীরা। কপালে ভাঁজ পড়েছে পুলিশ-প্রশাসনেরও।