বোঝালেও কংগ্রেস কানে তোলেনি কোনো রকম ‘টিপস’ ! এবার চটে লাল তৃণমূল নেত্রী
বেস্ট কলকাতা নিউজ : রাজস্থান, মধ্য়প্রদেশ, ছত্তিসগড়ে হেরেছে কংগ্রেস। যা নিয়ে সোমবার বেলায় প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দুপুরে মুখ খুললেন তৃণমূল নেত্রী। সাফ বলে দিলেন, তাঁর পরামর্শে কর্ণপাত না করার জেরেই এই শোচনীয় হাল হাত শিবিরের।
ঠিক কী বলেছেন তৃণমূল নেত্রী? এ দিন বিধানসভায় গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই তিন রাজ্যের ভোট কথা বলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। বলেছেন, ‘আমরা বারবার বলেছিলাম, আসন ভাগ কর। আসন ভাগ হলে, এই অবস্থা হত না। সেই জন্যে ৭০ আসনে হেরেছে। জিতেছে ভোট কেটে। এটা ভোট কাটার জয়। এটা কংগ্রেসের পরাজয়, মানুষের নয়, মানুষ বিজেপির বিরুদ্ধে। আর একটা ভোট জিতেই বাবুদের কী অবস্থা। কংগ্রেস একটা হারিয়ে একটা পেয়েছে।’
তৃণমূল নেত্রীর কি বিশ্বাস : চব্বিশের ফাইনালে থামবে মোদীর বিজয়রথ। এমনি চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তা সত্ত্বেও ‘সেমিফাইনালে’ গেরুয়া ঝড়। হিন্দু বলয়ের ভোটে কংগ্রেসের হারের ফলে ‘ইন্ডিয়া’ জোটের ভবিষ্যৎ নিয়েও জোর প্রশ্ন উঠছে। এদিকে অভিষেকের দাবি, ‘এখনও সময় আছে।’ অর্থাৎ কংগ্রেসকে জোট নীতি মানতে পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। আর এর কয়েক ঘন্টার মধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আর কিছু ছোট ছোট দল, বিজেপির পক্ষে বা বিপক্ষে ভোট কেটেছে। কৌশলের সঙ্গে আদর্শ মেশাতে হবে। শুধু বিজ্ঞাপন দিয়ে হয় না। কেন্দ্রীয় এজেন্সি ওদের হয়ে কাজ করেছে। আমি এখনও মনে করি আসন ভাগ হলে বিজেপি আর ক্ষমতায় আসবে না ২০২৪ সালে।’
ভুল থেকে শিক্ষা’ : কংগ্রেসের সমালোচনা করলেও সনিয়া-রাহুল গান্ধীদের তাঁর পরামর্শ, ‘ভুলের সমালোচনা করলে শুধু হয় না। ভুল থেকে শিক্ষা নিতে হয়।’ অর্থাৎ অভিষেক ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দু’জনের মন্তব্য থেকেই এটুকু স্পষ্ট যে, আগামী দিনে হাত ধরেই একসঙ্গে বিজেপি বিরোধী লড়াইয়ের কথা ভাবছে তৃণমূল।
‘বেল পাকলে কাকের কী?’ এদিকে ভিন রাজ্যের ভোটে জয় নিয়ে রবিবারই বাংলায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে বঙ্গ বিজেপি নেতাদের। হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যা নিয়ে সোমবার পদ্ম বাহিনীকে সমঝে দেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ‘বেল পাকলে কাকের কী? ওরা বলছে বাংলা থেকে ২৫ আসন পাবে। আগে ৫ আসন পেয়ে দেখাও। বড় বড় কথা। অহঙ্কারই পতনের মূল কারণ। ঔদ্ধত্য দেখাবেন না। আমি নাকি চোর।