এবার কলকাতার যোগ ওড়িশায় ৩৫১ কোটি উদ্ধারের ঘটনায়! অবশেষে তল্লাশি শুরু বালিগঞ্জ-কাশীপুর-লালবাজার স্ট্রিটে
বেস্ট কলকাতা নিউজ : ফের কালো টাকার সঙ্গে বাংলার যোগসূত্র। ওড়িশার মদ প্রস্তুতকারী সংস্থার সঙ্গে এবার মিলল এ রাজ্যের যোগ। সম্প্রতি ওড়িশার মদ উত্পাদনকারী সংস্থা বৌধ ডিস্টিলিয়ারিতে তল্লাশি চালিয়ে ৩০৫ কোটি টাকার হদিশ পায় আয়কর দফতর। কলকাতার একাধিক জায়গায় রয়েছে এই সংস্থার ব্যবসা। বৌধ ডিস্টিলিয়ারির বিভিন্ন মালিকের একাধিক শেল কোম্পানি রয়েছে কলকাতায়।
কলকাতার বালিগঞ্জ, কাশীপুর, লালবাজার স্ট্রিটে হদিশ মিলেছে এই সংস্থার একাধিক অফিসের। এই সমস্ত সংস্থার মাধ্যমেই কালো টাকা সাদা করা হত, এমনটাই অনুমান আয়কর দপ্তরের আধিকারিকদের। ইতিমধ্যেই টাকা উদ্ধারের ঘটনায় মামলার তোড়জোড় ইডির। ওড়িশার বিপুল কালো টাকার সঙ্গে কি যোগ রয়েছে এরাজ্যের ব্যবসায়ী ও প্রভাবশালীদের? আতস কাচের তলায় একাধিক ব্যবসায়িক লেনদেন। ধীরজ প্রসাদ সাহু-এর কোম্পানির অফিস ও কোম্পানির নামে থাকা ফ্ল্যাটের হদিশ কলকাতায়। পার্ক সার্কাসের পাম অ্যাভিনিউতে সেই ফ্ল্যাট দীর্ঘদিন ধরেই বন্ধ। ধীরাজ প্রসাদ সাহুর এর নামে ফ্ল্যাটের নেমপ্লেট।
এদিকে সূত্রের খবর, নভেম্বর মাসের ১৮ তারিখ শেষ এসেছিলেন রাহুল সাহু নামে এক ব্যক্তি। যিনি ধীরাজ প্রসাদ সাহু এর আত্মীয়। যার রেকর্ড আছে রেজিষ্টারে। তবে তারপর থেকে আর কাউকেই আসতে দেখেননি নিরাপত্তারক্ষীরা, ফ্ল্যাট ও বন্ধ বহুদিন ধরেই। দিনকয়েক আগে অবশ্য ইনকাম ট্যাক্স ডিপার্টমেন্ট এর লোকজন এসেছিলেন। কিন্তু ফ্ল্যাট বন্ধ থাকায় তাঁরা ফিরে যান। তদন্তকারীরা অনুমান করছেন, কলকাতার সংস্থার মাধ্যমেই কালো টাকা সাদা করা হয়েছে।
আরও বেশি আর্থিক বেনিয়মের অভিযোগে গত বুধবার ঝাড়খণ্ডের রাজ্যসভার কংগ্রেস সাংসদ ধীরজ সাহুর বাড়িতে অভিযান চালিয়েছিলেন আয়কর আধিকারিকরা। ঘরের পেল্লাই আলমারি খুলেই চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায় আধিকারিকদের। আলমারিতে থরে থরে সাজানো ছিল, ১০০, ২০০, ৫০০-র নোট। নগদ অর্থ গুনতে আনা হয় মেশিন।
ঝাড়খণ্ডের কংগ্রেস সাংসদ ধীরজ সাহুর মূলত একটি পারিবারিক ব্যবসা রয়েছে। ‘বৌধ ডিস্টিলারিজ প্রাইভেট লিমিটেডে’ নামে ব্যবসার আরেক অংশীদার বলদেব সাহু। তিনি কংগ্রেস সাংসদের দাদা। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, মূলত মদ বিক্রি করে থাকে সংস্থাটি। শুধু ঝাড়খণ্ড নয়, ওড়িশার বেশ কয়েকটি স্থানে রয়েছে সংস্থার শাখা অফিস।