জোর মজলিস চলছে খোদ হাসপাতালের ছাদে, দীর্ঘ অপেক্ষায় লাইনে রোগী, স্বাস্থ্য কর্মী মুখ লুকালেন সংবাদ মাধ্যম প্রশ্ন করতেই
বেস্ট কলকাতা নিউজ : কেউ এক ঘণ্টা, কেউ আধ ঘণ্টা! দাঁড়িয়ে রয়েছেন আউটডোরের লাইনে। অপর দিকে ইন্ডোরে ভর্তি প্রসূতি। কিন্তু কোথায় চিকিৎসক-নার্স? স্বাস্থ্য কর্মীরা নাকি ব্যস্ত রয়েছেন পিকনিকে। এমনই অভিযোগ করেছেন রোগীর পরিজনরা। ঘটনাস্থল খান্দরা গ্রামীণ হাসপাতাল। মূলত ,১ জানুয়ারি ইংরেজি নতুন বর্ষবরণের দিন। প্রতিবছরই এই দিনটিতে অনেকেই বেরিয়ে পড়েন পিকনিকে। এমনকি চলে ব্যাপক হই-হুল্লোড়ও । কিন্তু আর পাঁচটা পেশার মতো ছুটি থাকে না সব পেশায় । এছাড়াও চালু থাকে জরুরি পরিষেবা। কিন্তু বর্ষবরণের দিন এক অন্য ছবি দেখা গেল অন্ডাল ব্লকের খান্দরায় গ্রামীণ হাসপাতালে।
স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ইনডোরে ভর্তি রয়েছে প্রসূতি, আউটডোরে চিকিৎসকের দীর্ঘ অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে রয়েছেন রোগীরা। অথচ পরিষেবায় গরহাজির চিকিৎসক,নার্স,স্বাস্থ্যকর্মীরা। আউটডোরে বেশ কিছু রোগী হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরে গেলেন দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর। অভিযোগ ওঠে , চিকিৎসক, নার্স,স্বাস্থ্যকর্মীরা নাকি পিকনিকে ব্যস্ত রয়েছেন। রোগীর পরিজন ভোলানাথ বোস বলেন, “আমরা চল্লিশ মিনিট ধরে দাঁড়িয়ে আছি। ডাক্তারবাবু নেই। ভিতরে ফিস্টি চলছে।”
আরও জানা গিয়েছে, স্বাস্থ্যকেন্দ্রের তিনতলার ছাদে তখন চলছিল ভূরিভোজের জোর আয়োজন। ক্যাটারিংয়ের কর্মীরা ব্যস্ত রান্নার কাজে। বেলা দেড়’টার পর শুরু হয় খাওয়া-দাওয়ার পর্ব। টেবিলে সাজানো বেগুনি, ভাত, মিক্সড ভেজ, মুগ ডাল, মাছ, মটন কারি, চাটনি,পাপড়, মিষ্টি। যা কবজি ডুবিয়ে খেলেন স্বাস্থ্য কর্মীরাও ।
চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী মিলিয়ে মোট ৩০ জনের জন্য এই আয়োজন ছিল বলে সূত্রের খবর। খাওয়ার পর্বের মাঝপথে সংবাদ মাধ্যমের কর্মীদের উপস্থিতি দেখে কেউ কেউ খাওয়া ছেড়ে কার্যত উঠে যান। কেউ কেউ অনুরোধ করলেন ছবি না তোলার জন্য। এদিকে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের এরকম আচরণের তীব্র সমালোচনায় সরব হয়েছে বিজেপিও । বিজেপি নেতা ত্রিদীপ চক্রবর্তীর অভিযোগ, রাজ্যে মেলা-খেলার সরকার চলছে। স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে । পরিষেবা বন্ধ রেখে চিকিৎসকদের পিকনিকের ঘটনায় তা আরও একবার প্রমাণ হল বলে জানান তিনি