অবশেষে মুখ্যমন্ত্রী মুখ খুললেন ঘাস ফুলের নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্ব বিতর্কে, মত বদলাবে জোড়া -ফুলের রাজ্য মুখপাত্র? শুরু জোর জল্পনা

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : মূলত গত কয়েকমাস ধরেই জোর তুঙ্গে তৃণমূলে বয়সসীমা বিতর্ক। এরমধ্যেই ‘সেনাপতি’ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ মহলে নিজের কর্মসূচি ডায়মন্ড হারবারে সীমাবদ্ধ রাখার ইচ্ছেপ্রকাশ তৃণমূলে নবীন-প্রবীণ বিতর্কে ঘি ঢেলেছিল। এরপর এই বিতর্ক এক অন্যমাত্রা পায় নতুন বছরের শুরুর দিনে দলের প্রতিষ্ঠাদিবসে। রীতিমত অস্বস্তি বাড়ে রাজ্যের শাসক শিবিরের। ঘটনার দিন দশেকের মাথায় খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ খুলেন ঘাস-ফুলের বয়সসীমা বিতর্কে । ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল নেত্রী দলে নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্ব নিয়ে সতর্ক করে কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

লোকসভা ভোটের আগে প্রস্তুতি হিসাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলা ধরে ধরে সাংগঠনিক পরিস্থিতি ও প্রস্তুতি পর্যালোচনা করা শুরু করেছেন ইতিমধ্যেই । এদিন ডাকা হয়েছিল পশ্চিম মেদিনীপুরের নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের। কালীঘাটে নেত্রীর বাড়ির এই বৈঠকে আগাগোড়া হাজির ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বৈঠকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলে নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্ব নিয়ে বার্তা দিয়েছেন ।

ঠিক কী বলেছেন তৃণমূল নেত্রী? তৃণমূলের রাশ কার হাতে থাকবে তা নিয়ে জোর চর্চা। অভিষেক গত কয়েক সপ্তাহ ধরে তেমনভাবে কোনও দলীয় সাংগঠনিক কর্মসূচিতে না থাকায় বিতর্ক বেড়েছিল। এবার তাতে লাগাম পড়াতে মরিয়া পোড়খাওয়া নেত্রী মমতা। তৃণমূল সূত্রে খবর, এদিনের বৈঠকে দলনেত্রী স্পষ্ট করে দিয়েছেন, তৃণমূল দলে গণতন্ত্র রয়েছে মানে যা নয় তাই করা যাবে, এমন চলবে না। কারও কিছু বলার থাকতেই পারে। তা দলের মধ্যেই বলতে হবে। দলের অনুমতি ছাড়া মিডিয়ার সামনে কিছু বলা যাবে না। সোশাল মিডিয়ায় এমনকি দুমদাম পোস্টও করা যাবে না।

এদিনের বৈঠক শেষে মন্ত্রী তথা মেদিনীপুরের নেতা মানস ভুঁইয়া বলেছেন, ‘নেত্রী সকলকে বলেছেন যেন ব্যক্তিগত মতামত বাইরে প্রকাশ করা না হয়। গনতান্ত্রিক দলে সংগঠনের ভিতরেই ব্যক্তিগত মত প্রকাশের অধিকার রয়েছে সর্বস্তরে। সেটাকে মাথায় রাখতে হবে। ২০২৪ সালের ভোট মাথায় রেখে সকলে একযোগে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে।

মূলত এদিন এককথায় ‘দিদি’ সতর্ক করে দিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য মুখপাত্রদেরও । উল্লেখ্য, এই বিতর্কে সবচেয়ে বেশি চর্চা হয়েছে প্রধানত তৃণমূলের রাজ্য মুখপাত্র কুণাল ঘোষের একাধিক মন্তব্যে। যিনি মূলত তৃণমূলের অন্দরে পরিচিত ‘সেনাপতি’ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছের লোক বলেই । মুখে কারোন নাম নিলেও রাজনৈতিক মহল মনে করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসলে কুণাল ঘোষদেরকেই সমঝে থাকার বার্তা দিয়েছেন বলেই । তাহলে কী দলের রাজ্য মুখপাত্র পরিবর্ত হবে? জোর উস্কে গেল সেই জল্পনাও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *