সেই রাতে আরজি কর-কাণ্ডের প্রমাণ ঘেঁটে দেওয়া হয় টালা থানার অন্দরেই ! আদালতে যা জানাল CBI

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : তিলোত্তমা হত্যা মামলায় চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে এলে সিবিআই-এর। পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে আগেই। টালা থানার তৎকালীন ওসি-কে গ্রেফতারও করা হয়েছে ইতিমধ্যে। এবার সেই টালা থানার বিরুদ্ধে উঠল আরও বড় অভিযোগ। থানার অন্দরেই তথ্য-প্রমাণ বদল করা হয়েছে, তৈরি করা হয়েছে ভুয়ো রেকর্ড! বিশেষ সিবিআই আদালতে এমনই তথ্য পেশ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল যখন আদালতে জামিনের আবেদন জানান, তখন সিবিআই বেশ কিছু যুক্তি পেশ করে জামিনের বিরোধিতা করেছে। সেই সব যুক্তির একটি পয়েন্টে ছিল এই ভুয়ো রেকর্ড বানানোর অভিযোগ। তদন্তকারীদের দাবি, টালা থানার ভিতরেই ভুয়ো রেকর্ড বানানো হয়েছে। সিবিআই-এর দেওয়া নথিতে ৪ নম্বর পয়েন্টে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘False Record Created or Altered’, অর্থাৎ ভুয়ো রেকর্ড তৈরি করা হয়েছে বা বদল ঘটানো হয়েছে।

সিবিআই-এর দাবি, আরজি কর মামলায় অভিযুক্তদের জেরা করে এবং পারিপার্শ্বিক তথ্যপ্রমানের ভিত্তিতে এই তথ্য জানা গিয়েছে। এদিকে টালা থানার ভূমিকা নিয়ে প্রথম থেকেই প্রশ্ন উঠেছে। কেন সঠিক সময়ে এফআইআর হল না? কেন পুলিশ তড়িঘড়ি দেহ দাহ করার ব্যবস্থা করল? এমন সব প্রশ্ন উঠেছে। এদিন আদালতে নিজের পক্ষে যুক্তি দিতে গিয়ে প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল দাবি করেছেন, তিনি ঘটনার দিন তাঁর কাজ সঠিকভাবেই করেছেন। ঘটনার দিন সকাল সাড়ে ৯টায় খবর পান তিনি, সকাল সাড়ে ১০টায় যান। তাঁর দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তোলা হলেও, তা জামিনযোগ্য ধারা, তাই তাঁর জামিন পাওয়া উচিত। তবে তাঁর যুক্তি ধোপে টেকেনি। সিবিআই-এর আবেদন মেনে সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডলকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *