দিলীপ ঘোষের দীঘা জগন্নাথধাম আগমনকে শুভেচ্ছা জানালো পশ্চিমবঙ্গ হিন্দুমহাসভা
নিজস্ব সংবাদদাতা: পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উদ্যোগে গঠিত দীঘা জগন্নাথধামে প্রাক্তন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের আগমনকে শুভেচ্ছা জানালো পশ্চিমবঙ্গ অখিলভারত হিন্দুমহাসভা । হিন্দুমহাসভার রাজ্য সভাপতি ডক্টর চন্দ্রচূড় গোস্বামীর বক্তব্য মন্দির কখনোই বিজেপি, তৃণমূল বা হিন্দুমহাসভার হতেই পারেনা । কিন্তু কোন টেকনিক্যাল কারণে এই মন্দিরটিকে যদি কালচারাল সেন্টার হিসাবে দেখানো হয় তাহলে বলবো কোন নথি ঠিক করেনা কোনটি মন্দির আর কোনটি নয়, সনতানীদের আস্থা, শ্রদ্ধা এবং বিশ্বাস নির্ধারণ করবে মন্দিরের অস্তিত্ব । তবুও ভারতে যদি এই রকম কোন নিয়ম থাকে যে সরকারি টাকায় মন্দির করা যাবেনা তাহলে সবার আগে ভারতের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাবুর কাছে আবেদন করব অবিলম্বে এই নিয়মের বদল হওয়া প্রয়োজন ।

ডক্টর চন্দ্রচূড় গোস্বামীর মতে যে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ সনাতন ধর্মাবলম্বী সেই দেশে সনাতনীদের আস্থা ও আবেগকে সম্মান না করলে কোন প্রতিষ্ঠান, সরকার বা রাজনৈতিক দলের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা সম্ভব নয় । তাছাড়া মাথায় রাখতে হবে কোন স্থানে দীঘার জগন্নাথধামের মত মন্দির গড়ে উঠলে একদিকে যেমন সেই স্থানে ধর্মাচরণের সুযোগ হয় সেই রকম বিকল্প অর্থনৈতিক ব্যবস্থার মাধ্যমে অঞ্চলের মানুষদের কর্মসংস্থানেরও ব্যবস্থা হয় ।
চন্দ্রচূড় বাবু আরো বলেন প্রসঙ্গ যদি হয় ধর্মনিরপেক্ষতা তাহলে বলবো ভারতবর্ষ যুগ যুগ ধরে পৃথিবীকে শিখিয়ে এসেছে “বসুধৈব কুটুম্বকম” অর্থাৎ সারা পৃথিবী একটি পরিবার । ভারতে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ সনাতন ধর্মাবলম্বী বলেই এখানে ধর্মনিরপেক্ষতা টিকে রয়েছে । একসময় পাকিস্তান, মায়ানমার বা বাংলাদেশেও ধর্মনিরপেক্ষতা ছিল কিন্তু আজ তার অস্তিত্ব সেই দেশগুলোতে নেই কারণ সেখানে হিন্দুরা সংখ্যাগরিষ্ঠ নয় । ভারতে ধর্মনিরপেক্ষতার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে চাইলে আরো বেশি করে সনাতনী আদর্শের প্রচার, প্রসার ও বিস্তৃতি প্রয়োজন । সেই জন্যই আমরা চাই আগামী দিনে পশ্চিমবঙ্গের দেখানো পথেই ভারতের অন্যান্য রাজ্যে দীঘার জগন্নাথধামের মত বড় বড় মন্দির গড়ে উঠুক । হিন্দুমহাসভার অফিস সেক্রেটারি অনামিকা মন্ডল বলেন আমাদের রাজ্য সভাপতি ডক্টর চন্দ্রচূড় গোস্বামী এবং বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের উপস্থিতি প্রমাণ করলো মন্দিরের প্রতি সনাতনীদের শ্রদ্ধা সবসময় যে কোন রকম রাজনৈতিক তরজার ঊর্ধ্বে থাকা উচিত।