গায়ে খাকি উর্দি ! বান্ধবীকে থানা দেখাতে নিয়ে গিয়ে কনস্টেবলকে স্যালুট, অবশেষে শ্রীঘরে ঢুকলো ১ ‘ভুয়ো’ পুলিশ ইনস্পেক্টর

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : ভুয়ো পুলিশ সুপারের পর এবার পুলিশের জালে ভুয়ো ইনস্পেকটর । রাজ্য পুলিশের খাকি উর্দি পরে কলকাতা পুলিশের এন্টালি থানায় ঢুকে সে কনস্টেবল-সহ সবাইকে স্যালুট ঠুকতে থাকে । তাকে দেখেই সন্দেহ হয়েছিল কর্তব্যরত পুলিশকর্মীদের ৷ তখনই শুরু হল জিজ্ঞাসাবাদ । আর পুলিশের চোখা চোখা প্রশ্নবাণেই বেরিয়ে এল আসল সত্যিটা । ওই যুবক জানায় , সে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে বান্ধবীর কাছে নিজেকে পুলিশ বলে পরিচয় দিয়ে এসেছে ৷ আর সেই বান্ধবীকেই থানা কেমন হয় তা দেখাতে এদিন নিয়ে এসেছিল ওই যুবক । তবে বান্ধবীর সামনেই গ্রেফতার হতে হল সেই ভুয়ো পুলিশকর্মীকে ৷

গোয়েন্দা প্রধান রূপেশ কুমার জানিয়েছেন, ধৃতের নাম দীপ্তেন্দু বাগ । সে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ক্যানিংয়ের বাসিন্দা । আজ সকালে এন্টালি থানা থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷ আর তার গ্রেফতারির আগের গোটা চিত্রনাট্য থানার সিসিটিভি ক্যামেরায় এদিন বন্দিও হয় । জানা গিয়েছে, ওই যুবক নিজেকে রাজ্য পুলিশের ইনস্পেকটর বলে পরিচয় দিয়ে বান্ধবীর সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করেছিল । বিয়েও প্রায় ঠিক হয়ে গিয়েছিল ৷ অভিযোগ, অনেকদিন ধরেই বান্ধবী দীপ্তেন্দুকে বলছিলেন তার থানা দেখাতে । তিনি নাকি কোনওদিনও থানা দেখেননি । থানা কেমন হয়, সেই সম্পর্কে মেয়েটির নাকি কোনও ধারণা ছিল না ।

বান্ধবীর আবদার রাখতেই ওই যুবক তাঁকে নিয়ে সটান হাজির হয় এন্টালি থানায় । এন্টালি থানায় ঢুকেই সেখানে থাকা সমস্ত ব্যক্তিকে স্যালুট জানাতে থাকে দীপ্তেন্দু । এরপরেই রহস্যজনকভাবে সে থানা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে ৷ রাজ্য পুলিশের পোশাক পরে কলকাতা পুলিশের আওতাধীন থানায় ঢুকে সকলকে স্যালুট জানানোর পর, কারওকে কিছু না-বলে থানা থেকে আচমকাই সে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করায়, সন্দেহ হয় থানার কর্তব্যরত পুলিশকর্মীদের । সঙ্গে সঙ্গে ওই যুবককে ধরে পরিচয় জানার চেষ্টা করেন পুলিশকর্মীরা । সেই সময় পুলিশকর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে সত্যিটা সে বলে ফেলে । সে আরও জানায়, আদতে সে কোনও পুলিশকর্মীই নয় ,বান্ধবীকে ইম্প্রেস করতেই থানায় নিয়ে এসে নিজেকে পুলিশকর্মী বলে দাবি করেছিল ৷ দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করার পর অবশেষে তাকে গ্রেফতার করে এন্টালি থানার পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *