এক জোরালো প্রতিবাদভোটার তালিকা সংশোধনের , ৯ জুলাই বিহার বন্ধের ডাক ‘ইন্ডিয়া’ জোটের

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : নির্বাচন কমিশনের ভোটার তালিকা সংশোধন (স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন, এসআইআর)-এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদে বনধ ডাকল ইন্ডিয়া জোট ৷ আগামী ৯ জুলাই বিহারে বনধের ডাক দিলো ‘ইন্ডিয়া’ জোট ৷ মূলত চলতি বছরের শেষ দিকে বিহারে বিধানসভা নির্বাচন ৷ তার কয়েক মাস আগে নীতীশ কুমারের রাজ্যে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ শুরু হয়েছে ৷ এনিয়ে আগেই আপত্তি তুলেছে কংগ্রেস, আরজেডি-সহ বিরোধী দলগুলি ৷ এমনকী এনিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলাও দায়ের করেছেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র ৷ বিরোধী দলগুলির আশঙ্কা এসআইআর-এর ফলে আট কোটি ভোটারের ২০ শতাংশ ভোটারের নাম বাদ যাবে ৷ আরো অভিযোগ, বিজেপিকে ভোটে জেতাতে এই পদক্ষেপ করছে নির্বাচন কমিশন ৷ তাই কমিশনকে চাপে রাখতে এই বনধ ডেকেছে বিরোধীরা ৷

বিহারের কংগ্রেস সাংসদ মহম্মদ জাভেদ বলেন, “সত্যি এমনটা এই প্রথম ৷ নির্বাচন কমিশনের বিতর্কিত পদক্ষেপের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে বিরোধী দলগুলি ৷ কিন্তু আমরা বাধ্য হয়ে এই ব্যবস্থা নিচ্ছি ৷ কারণ, সাধারণ মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে ৷ এই লড়াইয়ে ইন্ডিয়া জোট একসঙ্গে রয়েছে ৷ আমরা বনধকে সম্পূর্ণ সমর্থন করছি ৷ সামাজিক সংগঠনগুলির কাছে আর্জি জানাচ্ছি, দুঃস্থ, প্রান্তিক শ্রেণির মানুষের কল্যাণের কথা ভেবে এই প্রতিবাদকে তারাও সমর্থন করুক ৷”

একই সুরে কথা বললেন আরজেডি সাংসদ মনোজ ঝা ৷ তিনিও বলেন, “আমি আগেই বলেছি, দুঃস্থ ভোটারদের নাম বাদ দিতেই এই ষড়যন্ত্র ৷ ২২ বছর পর এই প্রক্রিয়া কেন ? নির্বাচন কমিশন কি তাদের কর্মীদের এই প্রক্রিয়ার জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিয়েছে ? কেউ যদি কিছু ভুল করে, তাহলে কী হবে ? মানুষের কাছে ১ ১ টি নথি নেই ৷ এছাড়া তারা বন্যার সঙ্গে লড়াই করছে ৷ এই অবস্থায় তারা নথি পাবে কোথা থেকে ?”

বিহারে নির্বাচন কমিশনের ভোটার তালিকা সংশোধনের সিদ্ধান্ত সংবিধান বিরোধী ৷ চলতি বছরের শেষে বিহারে বিধানসভা নির্বাচন ৷ এর কয়েক মাস আগে বিহারের ভোটার তালিকা সংশোধনের (স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন, এসআইআর) প্রক্রিয়া শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন ৷ এই প্রক্রিয়ায় ভোটারের নাগরিকত্বের প্রমাণস্বরূপ জন্মের শংসাপত্র এবং তাঁর বাবা-মায়ের জন্মের শংসাপত্রও জমা করতে হচ্ছে ৷ এই নিয়েই বিতর্ক তৈরি হয়েছে ৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *