চাঁদার জুলুম থেকে বাঁচতে লরির গতি বাড়ালেন চালক, প্রাণ গেল ২ কিশোরের

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : রাস্তা আটকে গাড়ি থেকে পুজোর চাঁদা নেওয়া হচ্ছিল। চাঁদার জুলুম থেকে বাঁচতে গতি বাড়িয়ে পালানোর চেষ্টা করে একটি লরি। আর তাতেই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা জলপাইগুড়ির ধূপগুড়িতে। লরির ধাক্কায় মৃত্যু হল দুই কিশোরের। আরও এক কিশোর গুরুতর আহত হয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে তার।

মরণান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটেছে নাথুয়া ভাটিয়াপাড়া পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের সামনে। চা পাতা বোঝাই একটি লরি দুর্গাপূজার চাঁদার জুলুম থেকে বাঁচতে গতি বাড়িয়ে পালানোর চেষ্টা করলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা তিন কিশোরকে ধাক্কা মারে। গুরুতর আহত অবস্থায় তিনজনকে ধূপগুড়ি মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা মৈনাক দত্ত (১৫) ও পার্থ রায় (১৫) নামে দুই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন। অপর কিশোরকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে , ওই সময় রাস্তার মাঝেই পুজোর জন্য চাঁদা তোলা হচ্ছিল। লরিচালক টাকা দিতে অস্বীকার করলে উদ্যোক্তারা গাড়ি আটকানোর চেষ্টা করেন। চালক দ্রুতগতিতে গাড়ি নিয়ে পালাতে গেলে ঘটে বিপর্যয়। তিন কিশোরকে ধাক্কা মেরে ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেয় লরিটি। এই মর্মান্তিক ঘটনায় রাস্তায় পুলিশি নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কীভাবে প্রকাশ্যে এমন চাঁদার জুলুম চলতে পারে? স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসন প্রথম থেকেই কড়া নজরদারি চালালে দুই কিশোরকে প্রাণ দিতে হত না। শোকস্তব্ধ পার্থ রায়ের বাবা রবি রায় কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, “বাজার যাচ্ছি বলে ছেলে বন্ধুদের সঙ্গে বেরিয়েছিল। হঠাৎ খবর পাই দুর্ঘটনার। হাসপাতালে এসে শুনলাম ছেলে আর নেই। কীভাবে এমনটা ঘটল, কিছুই বুঝতে পারছি না।” ঘটনার পর উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। ক্ষুব্ধ জনতার দাবি, অবিলম্বে চাঁদার নামে এই ধরনের জুলুমবাজি বন্ধ করতে হবে। এবং দোষীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে কঠোর পদক্ষেপ করতে হবে। এদিকে চা পাতা বোঝাই লরিটির খোঁজ শুরু করেছে ধূপগুড়ি থানার পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *