বরানগরে স্বর্ণ ব্যবসায়ী খুনে পুলিশের জালে আরও তিন, লুঠ হওয়া সোনা উদ্ধারে মরিয়া তদন্তকারীরা
বেস্ট কলকাতা নিউজ : বরানগরে সোনার দোকানে ডাকাতি ও খুনের ঘটনায় পুলিশের জালে আরও তিন জন। ধৃতদের মধ্যে একজন আবার ডাকাতির সোনা কিনেছিল বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। তার নাম পাঁচু সামন্ত। এলাকায় সে ‘গোল্ড রিসিভার’ বলে পরিচিত। বাকি দু’জন ষাটোর্ধ্ব ব্যবসায়ী শঙ্কর জানাকে খুন করেছিল। পুলিশ সূত্রে খবর, পাঁচু সামন্তকে তার বরানগরের ঘোষ পাড়ার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। বাকি দু’জনকে পাকড়াও করা হয় পড়শি রাজ্য ঝাড়খণ্ড থেকে। ধৃত পাঁচুকে মঙ্গলবার বারাকপুর আদালতে পেশ করা হলে তাকে তিন দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। বাকি দু’জনকে অবশ্য বুধবার তোলা হবে আদালতে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ডাকাতির আগেই বরানগরের ঘোষ পাড়ার সোনার ব্যবসায়ী পাঁচুর কাছে সোনা বিক্রির পরিকল্পনা সেরে ফেলেছিল ধৃত মূল ষড়যন্ত্রকারী সঞ্জয় মাইতি। পূর্ব পরিকল্পনা মতো ডাকাতি ও খুনের পরপরই লুঠ হওয়া ১৫ কেজি সোনার মধ্যে বেশিরভাগ সোনাই সে পৌঁছে দিয়েছিল সোনার কারবারি পাঁচুর কাছে। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, সোনা বিক্রির কয়েক কোটি টাকা একসঙ্গে নিতে চায়নি সঞ্জয়। তাই, পাঁচু লুঠ হওয়া সোনার গয়না নিয়ে কিছু টাকাও দিয়েছিল তাকে।
এদিকে, ঝাড়খণ্ডের জামসেদপুর থেকে পুলিশ যে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে, তারাই শঙ্করবাবুকে লোহার দণ্ড (কাতুরি) দিয়ে মাথায় আঘাত করে খুন করেছিল বলে জেরায় উঠে এসেছে এমনই তথ্য। দোকানের ভিতরে প্রবেশ করা আরও এক দুষ্কৃতী ওই স্বর্ণ ব্যবসায়ীর উপর হামলা চালিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে পুলিশের তদন্তে। তার খোঁজে বিহার-ঝাড়খন্ডে তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলেই খবর পুলিশ সূত্রে। এই তিনজনের কাছেও লুঠ হওয়া ডাকাতির সোনা রয়েছে বলে জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা।