রাত হলেই ‘রহস্য’ জেগে ওঠে এই ভুতুড়ে বাড়িতে
বেস্ট কলকাতা নিউজ : আমাদের আত্মারাম খাঁচাছাড়া হওয়ার জোগাড় হয় ভূত শব্দটি শুনলেই।আসলেই তারা আছে কিনা সেটা এখনো একটা বিতর্কের বিষয়। তবে আমরা কেউই এড়িয়ে চলতে পারি না আত্মার উপস্থিতির কথা।কলকাতার এক বহু পুরোনো বাড়িতে রয়েছে এমনই কিছু স্মৃতিচিহ্ন যা রীতিমতো ভয় পাইয়ে দেওয়ার মতোই। এমন এক রোমাঞ্চকর কাহিনী রয়েছে উত্তর কলকাতার এক অট্টালিকার ভেতর যা পড়লে আপনার রাতের ঘুম উড়ে যাবে।
এই কাহিনী কলকাতার আহিরীটোলার। আজও অমীমাংসিত সেখানকার পুতুলবাড়ির রহস্য।সেই অতৃপ্ত পেত্নীদের বাস নাকি বাড়ির উপরের তলায় । কিন্তু এরা কারা? জানা গেছে ,প্রায় ২০০ বছরের পুরনো তিনতলা বাড়িট। এই অট্টালিকা বানানো হয়েছিল সাড়ে ৯ কাঠা জমির উপর। তার নকশা বানানো হয় রোমান স্থাপত্যশিল্পের অনুকরণে। আপনি পুতুলবাড়ির সম্মুখভাগে দেখতে পাবেন একাধিক দরজা কিন্তু বাড়িতে ঢোকার মূল দরজা একটাই।
বাংলাদেশের বরিশালে একটি যাত্রাদলের অভভূত্থান হয়েছিল ১৮৬৯ সালে স্বর্গীয় বৈকুণ্ঠনাথ নট্টের হাত ধরে।তাদের নাম ছিল ‘মার্চরং বৈকুণ্ঠ সঙ্গীত সমাজ’। ধীরে ধীরে কলকাতাতেও ছড়িয়ে পড়েছিল তাদের অভিনয়ের খ্যাতি। পরিবারের একটি শাখা বাংলা ভাগের আগে কলকাতায় আসে এবং যাত্রাদলকে এগিয়ে নিয়ে যায়। সেই যাত্রা দলের বর্তমান নাম ‘নট্ট যাত্রা কোম্পানি’।এই দলের সাজসরঞ্জাম রাখা ও রিহার্সালের জন্য ভাড়া নেওয়া হয়েছিল বাড়িটির উপরের কয়েকটি ঘর। বাড়িতে অশরীরী উৎপাত শুরু হয় বিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিক থেকে।
এমনও নাকি শোনা যায়, পুতুল খেলতে ভালোবাসতো পরিবারের একটি শিশুকন্যা। তারা বাবা অনেক পুতুলের মূর্তি তৈরি করেন তার জন্যে। বাচ্চাটি হঠাৎ মারা যাওয়ার পর বাড়ির অন্দরমহলে নাকি ঘুরতো তার অশরীরী আত্মা। শোনা যায় রাতের অন্ধকারে পুতুলগুলোর জীবন্ত হয়ে ওঠার গুজবও। আবার আরো এক কাহিনী শোনা যায়। পরবর্তী সময়ে এই বাড়িটিতে বাস করতেন এক বড়লোক মনিব যার দেখাশোনায় সেখানে থাকতো কিছু দাসী। কিছু দাসীর উপর অত্যাচার চালাতেন সেই মনিব। শেষে প্রতিবাদ করায় তাদের হত্যা করার পর থেকেই নাকি অনেকেই পেয়েছেন অচেনা নারীর কণ্ঠস্বর, হাসির শব্দ, চিৎকার কিংবা কান্নার আওয়াজও।